পাইকগাছায় গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি)’র পৃথক অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৯শ’ পিস ইয়াবা ও ১৩ লিটার চোলাই মদসহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। সোমবার (১ মার্চ) চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন।
চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি)’র সূত্র মতে, সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর সার্বিক তত্বাবধানে কোতোয়ালি, বন্দর ও পাঁচলাইশ সার্কেল পরিদর্শক এর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগরীর ফিরিঙ্গি বাজার, নতুন ব্রীজ ও বায়েজিদ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আব্দুর শুক্কুরের পুত্র মাদক ব্যবসায়ী মোঃ জিয়াউর রহমান (২৬), ১ হাজার ৭শ পিস ইয়াবাসহ ফিরিঙ্গি বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি সার্কেল পরিদর্শক মোঃ মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। অপর অভিযানে বন্দর সার্কেল পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম নতুন ব্রীজ এলাকা হতে মৃত শাহ আলমের পুত্র মোঃ হারুনর রশীদ (৩৮)কে ২শ’পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে বন্দর সার্কেল পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা করেন । এছাড়া অপর অভিযানে পাচলাইশ সার্কেল পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা বায়েজিদ থানাধীন বকসুনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মৃত গোলামের পুত্র মোঃ আলি হোসেন(৪০)কে নিজ বসত ঘর হতে ১৩ লিটার চোলাই মদসহ গ্রেফতার করে বায়েজিদ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ উদ্ধার কাজ এখনও শুরু হয়নি। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেছেন, মঙ্গলবার থেকে জাহাজটির উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে। উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে বরিশাল থেকে একটি উদ্ধারকারী ক্রেন মোংলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলার আহবায়ক নুর আলম শেখ বলেন, সুন্দরবনের কাছকাছি পশুর নদে কয়লাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ডুবেছে। যেহেতু কয়লা একটি বিষাক্ত পদার্থ এটি নদীতে ছড়িয়ে পড়লে নদীর মাছসহ জলজপ্রাণীর মারাত্নক ক্ষতি হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরই এই পশুর নদে কয়লা, তেল ও সার নিয়ে জাহাজ ডুবছে এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আরো সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
ডুবন্ত কার্গো জাহাজের মাষ্টার ওসমান আলী জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে প্রায় ৭শ মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে কার্গো জাহাজ এম,ভি বিবি-১১৪৮ তলা ফেটে পশুর নদে ডুবে যায়। বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশী জাহাজ থেকে কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথিমধ্যে রাত ১১টার দিকে পশুর নদের বানীশান্তা ও কানাইনগর এলাকায় পৌঁছালে তলা ফেটে জাহাজটি ডুবে যায়। তবে এ সময় ওই জাহাজের মাষ্টারসহ ১২ জন নাবিক সাতরিয়ে নদীর কুলে উঠে যায়।
এদিকে জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু না হলেও ঘটনাস্থলে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ডুবন্ত নৌযানটি মোংলা নালা থেকে প্রায় ১ নটিক্যাল মাইল দূরে এবং বন্দরের মুল চ্যানেলের বাহিরে রয়েছে। ফলে ওই চ্যানেল দিয়ে বিদেশী জাহাজসহ সকল ধরণের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।
তবে কার্গো জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর পুরো দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ডুবন্ত কার্গোটির উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কার্গো জাহাজের মালিকপক্ষ।
ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ সোনালী ব্যাংক ফুলতলা শাখার গ্রাহক সেবা মাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সোমবার বেলা ১১টায় ব্যাংক ভবনে শাখা ব্যবস্থাপক শেখ তানভীর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও সাদিয়া আফরিন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহিন আলম, নির্বাচন কর্মকর্তা কল্লোল বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী জাফর উদ্দিন, কাজী আশরাফ হোসেন আশু, সমাজসেবক কওছার আলী জমাদ্দার, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আফরুজ্জামান, বীজ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা তাসনিম সুলতানা, প্রেসক্লাব সভাপতি তাপস কুমার বিশ্বাস,সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুল আলম খোকন, সহকারী অধ্যাপক মোঃ নেছার উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা মনজেল সরদার, আঃ গনি বক্স, শিক্ষক মুরাদ হোসেন, ব্যাংক কর্মকর্তা শাহীনা খাতুন, মোঃ জাকারিয়া হোসেন, তপন কুমার সিংহ, কিশোর কুমার রায়, সুদীপ রায়, দেবাশিষ কুমার দে, মোঃ হামিদুর রহমান, মোঃ রিয়াদুল কবির, জ্যোতি প্রকাশ মন্ডল, অনু দত্ত প্রমুখ। পরে কেক কেটে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোংলায় ওঝা (কবিরাজ) সেজে বাড়ী বন্ধ ও ঝাড়-ফুকের নাম করে দুধের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে বাড়ীর লোকজনকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল লুটে নিয়েছে দুই দুর্বৃত্ত। রবিবার রাতে মোংলার সাতঘরিয়া গ্রামের মৃত বিদ্যুতের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার সকালে ওই বাড়ীর তিন ব্যক্তিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে প্রতিবেশীরা।
স্থানীয়রা ও অজ্ঞানের শিকার পরিবারের স্বজনেরা জানান, রবিবার রাত ১০টার দিকে দুই ব্যক্তি সাতঘরিয়া গ্রামের বিদ্যুতের বাড়ীতে যান। তারা দুইজন ওই বাড়ীতে রাত কাটানোর জন্য বাড়ীর লোকজনকে বললে যাতে রাজি হয়ে তাদের রাতের খাবার খেতে দেন। এরপর তারা বাড়ীর লোকজনকে বলে এ বাড়ীতে ভয়ভীতির আচর রয়েছে তাই বাড়ী বন্ধ করতে হবে। ওই দুইজনের কথা মত সবকিছুই করেন বাড়ীর লোকজনেরা। কৌশলে এক পর্যায়ে তারা রাত ১২টার দিকে দুধের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে দেন বাড়ীর গৃহকর্তী কবিতা, কবিতার ছেলে বিপ্লব ও কবিতার বড় বোন সবিতাকে। এরপর তারাও ঘরের বারান্দায় ঘুমানোর ভান করেন। দুধে মিশানো চেতনানাশক খেয়ে বাড়ীর লোকজন অজ্ঞান হয়ে পড়লে ঘরে ঢুকে ৯ থেকে ১০ হাজার নগদ টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল নিয়ে যান। তবে স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামালের সঠিক বিবরণ/পরিমাণ পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে ওই বাড়ীর লোকজনকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরে তিনজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর দুপুরের দিকে তাদের সামান্য চেতনা ফিরেছে। তবে বেশি একটা কথা বলতে পারছেনা। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় আনা বিপ্লব (৩২), কবিতা মল্লিক (৫২) ও সবিতা মল্লিকের (৫৫) শারীরিক অবস্থা এখন ভাল এবং শংকামুক্ত।
খুলনা অফিস : অব্যাহত নদী ভাঙনে গোটা বটিয়াঘাটা সঙ্কুচিত হয়ে চলেছে। বছরের পর বছর এ নদী ভাঙন নদীর কূলবর্তী মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহারা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে কার্যত দীর্ঘমেয়াদী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গৃহহারা মানুষের যেমন বেড়েছে ক্ষোভ, তেমনি এখনও যারা টিকে আছে তাদের মাঝে বেড়েছে আতঙ্ক।
সূত্রে প্রকাশ, দক্ষিণ খুলনার সুন্দরবন উপকূলবর্তী এ উপজেলা নদী দ্বারা বেষ্টিত। উপজেলার অন্যতম নদ-নদরি মধ্যে কাজিবাছা, ঝপঝপিয়া, মাঙ্গা, ভদ্রা, শৈলমারী নদী উল্লেকযোগ্য। গত ৩/৪ বছর যাবৎ নদ-নদীগুলোর অব্যাহত ভাঙনে নদীর উপকূলবর্তী বসতিরা ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহারা হয়ে চলেছে। পৈত্রিক ভিটেমাটি হারিয়ে অনেকেই আজ নিঃস্ব। ইতিপূর্বে ভদ্রা নদীর ভাঙনে বারোআড়িয়া বাজার ও বারোআড়িয়া গ্রামের আশিংক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে ঐ এলাকার পুলিশ ক্যাম্প, মসজিদ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মন্দির এবং পাউবোর অফিস বাঙনের পথে। দুইশত পরিবার ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। তা ছাড়াও পাশ্ববর্তী ধানের গোডাউন ও অনেক সরকারি স্থাপনাও চরম হুমকির মুখে। অপরদিকে কাজিবাছা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিগত ৫/৬ বছর ধরে শত শত পরিবার গৃহহারা হয়েছে। মাঝখানে জিও টেক্সটাইলের মাধ্যমে খানিকটা ব্লক বসিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হলেও বর্তমানে ঐ স্থানের ব্লকগুলো সরে গিয়ে গোটা উপজেলা বাজার সদরের বেড়িবাঁধ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। পুুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় সম্প্রতি বড় ধরনের একটি ভাঙন দেখা দেওয়ায় বাজার সদর ও তার আশপাশ এলাকার ১০/১৫ টি গ্রামের মানুষ রয়েছে ভাঙনের আতঙ্কে। চলমান অমাবস্যার গোন থাকায় বর্তমানে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে এ আতঙ্ক বিরাজ করছে। আগামী পূর্নিমার গোনে কখন না জানি আঘাত আসে। ঐ একই অবস্থা পানখালী ফেরীঘাট, বরণপাড়া মোড়ে। উপজেলার ৩০ নং পোল্ডারের বরইতলা নামক স্থানো প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অবস্থা চরম ঝুঁটিপূর্ণ। ইতোমধ্যেই উক্ত স্থানের খুলনা-চালনা মহাসড়কের তলদেশের দুই তৃতীয়াংশ মাটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যে কোন মুহুর্তে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে কিসমত ফুলতলা, দেবীতলা, বাদামতলা, ফুলতলা, হেতালবুনিয়া, বসুরাবাদসহ ৯টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে কাজিবাছা নদীর উপকূলবর্তী বেড়িবাঁধসমূহ চরম হুমকির ভেতরে রয়েছে। এতে দুই উপজেলা দাকোপ ও বটিয়াঘাটার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়বে বলে এলাকাবাসীর অভিমত। দীর্ঘদিন যাবৎ অব্যাহতভাবে এ নদী ভাঙন কুরে কুরে মানুষকে সর্বস্বান্ত করে দিয়ে এবং প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য করলেও পাউবোর পক্ষ থেকে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। সে কারণে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের মনে ক্ষোভের দানা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম খাঁন এ প্রতিনিধি কে জানান, এভাবে যদি ভাঙন অব্যাহত থাকে তবে বটিয়াঘাটা উপজেলা অনেক ছোট হয়ে যাবে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে অচীরেই এ ভাঙন কবলিত এলাকার সমস্যার সমাধান করা হবে। এ ব্যাপারে, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জী এ প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানান, বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙনের যে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা অচীরেই বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।, সদর রক্ষা বাঁধ ও ভাঙন কবলিত স্থান রক্ষার জন্য স্কিম পাঠানো হয়েছে। স্কিম পাস হলে কাজে হাত দেওয়া হবে।
© 2013-2020 Unique News | Developed and Maintenance inbudget.xyz