খুলনা : কয়রা থানা পুলিশ দীর্ঘ ৯ দিন অভিযান চালিয়ে বনদুস্যদের হাতে অপহৃত জ্যোতিষ মাহাতো (৪৫)কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর রাতে উপজেলার হরিহরপুর গ্রাম থেকে মুক্তিপনের দাবিতে বনদস্যু ফারুক বাহিনীর সদস্যরা মতিলাল মাহাতোর পুত্র জ্যোতিষ মাহাতোকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিলে তার ছোট ভাই ধীরেশ মাহাতোকে গুলি করে আহত করে আহত করে বনদস্যুরা। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে জ্যোতিষের ভাই ঝুর্জ্যােটি মাহাতো বাদী হয়ে ৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কয়রা থানায় ১টি অপহরন মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ সুন্দরবনে প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রাখে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে বনদস্যু ফারুক বাহিনী সুন্দরবনের কয়রা বন টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন মঠের খাল এলাকায় অবস্থান করছে। সে খানে গত ১৭ নভেম্বর রাত আনুমানিক আড়াই টার সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত জ্যোতিষ মাহাতোকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের সাথে বনদস্যুদের গুলি বিনিময় হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বনদস্যুদের ১টি নৌকা উদ্ধার করে।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্যাহ, এস আই রাজিউল আমিন,মোঃ ফারুক হোসেন, কিশোর কুমার বিশ্বাস, শেখ গোলাম আযম, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ মাসুম বিল্যাহ, মোঃ শাহাবুদ্দীন, সাঈদ আল মামুন, মোঃ সায়েম হোসেন, মঠবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, কাটকাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ হোসেন, কয়রা থানার এ এস আই মোঃ হাফিজুর রহমান সহ পুলিশ সদস্যরা।
কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক বলেন, জ্যোতিষ মাহাতো অপহৃত হওয়ার পর থেকে পুলিশ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সুন্দরবনে প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ, র্যাব, বন বিভাগ ও কোষ্টগার্ডের সম্বনয়ে বনদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। তাছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।