অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ক্লিনিকে বেড সংখ্যা বাড়ানোর পরিদর্শণকালে সরকারি নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে ক্লিনিক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অপরাধে নোয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে ক্লিনিকটি পরিদর্শণকালে এই অনিয়ম ধরা পড়ে। পরিদর্শণে থাকা অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রহমান রিজভী জানান, ক্লিনিকটিতে বেড সংখ্যা বাড়ানোর আবেদনের প্রেক্ষিতে যশোর সিভিল সার্জনের পরিদর্শণকালে সরাকরি নিয়মনীতি না মেনে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নোয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ব্যবসা করার অপরাধ পরিলক্ষিত হওয়ায় সাময়িকভাবে ক্লিনিকটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, পরিদর্শণ চলাকালে ক্লিনিকে কর্মরত নার্স ও কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই ডিউটি পালন করছেন, ক্লিনিকে নেই বর্জ্য নিষ্কাষণের কোনো ব্যবস্থা, প্যাথলজি ল্যাবের ফ্রিজে ব্লাড রাখা হয়েছে, ক্লিনিকে বেডের অনুমতি রয়েছে ১০টি কিন্তু ৩৮টি বেডে রয়েছে ভর্তি হওয়া রোগী। ৫০ বেডের অনুমতি চাইলেও বেড করার নেই প্রয়োজনীয় স্ট্রাকচার, নেই পর্যাপ্ত তাদের জনবল, ডিপ্লোমাধারী নার্সও নেই এ ক্লিনিকে। তাছাড়া অভিযান চলাকালে ক্লিনিকে রোগী ভর্তি থাকা দেখা গেলেও ডাক্তার রয়েছেন মাত্র একজন। পরিদর্শণ চলাকালে এসব অনিয়ম বিষয়গুলো আমলে নিয়েই ক্লিনিকটিকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে আল মদিনা প্রাইভেট ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ক্লিনিকের ময়লা আবর্জনা ফেলানোর ব্যবস্থা না থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা পূর্বক সতর্কীকরণ করা হয়। পরিদর্শণের বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, সরকারি নিয়মনীতি মেনে না চলার কারণে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করাতো দূরের কথা, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে নোয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিকটিকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া রোগীদের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।