ইউনিক ডেস্ক : নিম্নচাপের কারণে সারা বাংলাদেশেই শনিবার দিনভর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই রেশ আজ রোববারও থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার সমুদ্রবন্দরগুলোতে রাখা হয়েছিল ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত। স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে গত শুক্রবার থেকে বৃষ্টি ঝরছে প্রায় সারাদেশে। গ্রামবাংলায় একটি কথা প্রচলিত আছে- ভাদ্র মাসে শীতের জন্ম। কোনো কোনো অঞ্চলে প্রচলিত রয়েছে- ভাদ্র মাসের ১৩ তারিখ শীতের জন্ম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই ঋতুচক্র কিছুটা যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে। মাঝে ২০১৩ সাল ছাড়া ২০১০ সাল থেকেই শীতের অনুভূতি পেতে পেতে কার্তিক মাস গড়ায়। এবারও কার্তিকে এসে শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। শীত কড়া নাড়ছে দুয়ারে। এ সময়টাকে বলা হয় ট্রানজেকশন পিরিয়ড। এ সময় প্রকৃতিতে চলে বর্ষার বিদায় আর শীতের আগমনের প্রস্তুতি। প্রকৃতিতে শীত আসে একটু একটু করে। ঠিক যেমনটি হচ্ছে গত চার-পাঁচ দিনে। রাতের প্রকৃতির বুকে নিঃশব্দে নেমে এসে মেলে ধরছে কুয়াশার চাদর, ভোর রাতে ঠান্ডা হাওয়ায় ফুরফুরে প্রকৃতি। ভোররাতে হিম হিম বাতাস। অবশ্য এ সময়কে প্রাকশীতও বলা হয়। এখন হেমন্তকাল। তাই ভোরে সূর্য ওঠার আগে ঘরে গরম, বাইরে ঠান্ডা অনুভূত হবে। (গত দুদিন নিম্নচাপের কারণে ব্যতিক্রম)। একটু একটু করে শীত নেমে আসবে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ‘মিষ্টি শীত’ পড়তে শুরু করবে। ডিসেম্বরে এর তীব্রতা আরো কিছুটা বাড়বে। আর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শীত অনুভূত হবে সর্বোচ্চ। গত ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। সেই স্থানে উত্তুরে বায়ু এখনো আসেনি। কিন্তু সাগরে নিম্নচাপের কারণে দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি নিয়ে এসেছে শীতের আমেজ। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশের আকাশে প্রবেশ করবে উত্তুরে হাওয়া। শুরু হবে শুষ্কতা, পড়বে শীত। শরতে কাঁশফুল ঝড়ে গেছে এরই মধ্যে। নীল আকাশে মেঘের শুভ্রতাও কমে আস্তে আস্তে ঘোলাটে বর্ণ ধারণ করতে শুরু করেছে। গাছের সবুজ পাতাও শুকিয়ে জীর্ণ হয়ে বিষন্নতার রূপে সাজতে শুরু করে দিয়েছে। অর্থাৎ, শীতের ছোঁয়া লাগা শুরু হচ্ছে এসব স্থানে।