ঢাকা অফিস : আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আজ মাওয়া প্রান্তে বসবে পদ্মা সেতুর ১৩তম স্প্যান। ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারে স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর এক হাজার ৯’শ ৫০ মিটার। পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, নাব্য সংকট এবং ১৪ নম্বর পিলারে লিফটিং হ্যাঙ্গার বসাতে না পারায় কয়েক দফায় স্প্যান বসানোর তারিখ পেছানো হয়। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে স্থায়ী ১০টি স্প্যান ও দু’টি অস্থায়ী স্প্যানসহ মোট ১৮শ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
জাজিরাপ্রান্তে সেতুর ১৩৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৩০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর একটি স্প্যান অস্থায়ীভাবে বসানোয় সেতুর মোট ১৮০০ মিটার আগেই দৃশ্যমান আছে। তবে, স্প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোর কারণে দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে নয় বরং বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মাসেতুতে বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর প্রায় চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর দেড় মাস পর ১১ মার্চ জাজিরা প্রান্তে তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। এর ২ মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। এরপর এক মাস ১৬ দিনের মাথায় পঞ্চম স্প্যানটি বসে ২৯ জুন। ৬ মাস ২৫ দিনের মাথায় ২৩শে জানুয়ারি বসে ষষ্ঠ স্প্যানটি।
গত ২০শে ফেব্রুয়ারি ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারে বসে জাজিরাপ্রান্তের সপ্তম স্প্যান। ২২ মার্চ বসে অষ্টম স্প্যান এবং মাওয়াপ্রান্তে গত ১০ এপ্রিল বসে নবম স্প্যান। জাজিরাপ্রান্তে মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে ২২ এপ্রিল স্থায়ীভাবে বসে দশম স্প্যান। গত ১৭ মে জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে ২০ ও ২১ নম্বর পিয়ারে জে-৩ স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়। এটি ছিল ১২তম স্প্যান। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।