মাসুদ তাজ (যশোর) অভয়নগর : অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিলের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যগণ। সোমবার ইউনিয়নের ৯ জন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম মাহমুদুর রহমান বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিজ ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নতুন ঘর নির্মাণের তালিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সমবন্টনের পরিবর্তে নিজস্ব ৩ নং ওয়ার্ডে নিয়ম বহির্ভূত ৬টি ঘর নির্মাণ, চলমান ভিজিএফ- বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড অন্যান্য ওয়ার্ডের পরিবর্তে ৩ নং ওয়ার্ডে বিতরণ, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এডিবি উন্নয়ন তহবিলের ঢেউটিন, বাঁশ ও ক্রীড়া সামগ্রী কোন ইউপি সদস্যকে অবহিত না করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিতরণ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলির বরাদ্দকৃত সকল ডিপ-টিউবয়েল স্বজন ও বিত্তবানদের মাঝে বিতরণ, হাইছোয়া কর্তৃক প্রদানকৃত ডিপ-টিউবয়েল বিতরণের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের সংখ্যা চেয়ারম্যান তার নিজ নামে বরাদ্দকৃতগুলো শুধুমাত্র ৩ নং ওয়ার্ডে রাখার অভিযোগ সহ চলতি বছরে অতিরিক্ত ৬ জন শ্রমিককে নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী কর্ম বন্টন করার অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ইকবাল হোসেন, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য অর্ধেন্দ্যু মল্লিক, মহিলা সদস্য দীপু রানী বর্মণ, মিনতী বিশ্বাস (১) ও মিনতি বিশ্বাস (২), ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য রাজকুমার হাওলাদার, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য সুনীল মন্ডল, ৮নং ওয়ার্ডের মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য পবিত্র বিশ্বাস।
অপরদিকে সাধারণ গ্রামবাসী চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, অর্থ আত্মসাত সহ একাধীক অভিযোগ তুলে উপজেলা প্রশাসনের নিকট তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন। সার্বিক বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিলের ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭৫১-৫০২১৮৯ ও ০১৭০৮-০৮৮৬৪৮ নম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ইউএনও এম এম মাহমুদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।