এমপি কাজী নাবিলের আহমেদের ভৈরব নদ সংস্কার কাজ পরিদর্শন

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-০৩ - ২০:৩৫

যশোর অফিস:  যশোরবাসীর প্রাণের দাবি ভৈরব নদ সংষ্কার শুরু হয়েছে। যশোরবাসীর এই আনন্দে শামিল হয়েছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

তিনি বলেছেন, এ অঞ্চলের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি ছিল, ভৈরব সংস্কারের। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সেই দাবির প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। শুরু হয়েছে ভৈরব সংস্কারের কাজ।  তিনি শনিবার দুপুরে যশোর সদরের কনেজপুর এলাকায় ভৈরব নদ খনন প্রক্রিয়া পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যশোরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আমি মহান জাতীয় সংসদে এই বিষয়টি বারবার উত্থাপন করেছি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। বছর দেড়েক আগে একনেকে প্রকল্পটি পাশ হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে আমরা অনেক সুফল পাচ্ছি জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে এই এই সাফল্য ধরে রাখতে আমাদের আবারও জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি এই কাজ সূচারুরূপে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনার পাশাপাশি ভৈরব খনন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সাধুবাদ জানান।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জনগণ পাশে থাকলে আগামীতে যশোরের অন্যান্য নদ-নদীগুলো সংস্কারেও এই সরকার পদক্ষেপ নেবে।

এরআগে তিনি যশোর এমএসটিপি স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ এবং পুলেরহাট স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। দুপুরে তিনি ডাকাতিয়া হাই স্কুলে মতবিনিময়সভা এবং বিকেলে তিনি যশোর পুলিশ লাইনস মাঠে জয়বাংলা ফুটবল লিগের খেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথি হিসেবে ছিলেন।

ওইসময় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে সদর আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি মেহেদি হাসান মিন্টু, সেলিম আহমেদসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা-কর্মীরা।

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরুণ হোসাইন বলেন, মৃতপ্রায় ভৈরবের প্রবাহ ফেরাতে তাহেরপুর থেকে বসুন্দিয়ার আফরা পর্যন্ত প্রায় ৯৬ কিমি খনন করা হবে।  এতে ২৭২ কোটি ৮১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি প্যাকেজে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ কিলোমিটার (সদরের কনেজপুর থেকে পশ্চিম সীতারামপুর) খনন কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পর্যায়ক্রমে ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে।

প্রসঙ্গত, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের যৌথ সার্ভে দল ভৈরব পাড়ে ১১৮ দখলদারের তালিকা পায়। গত ২৮ জানুয়ারি দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে সাত দিনের নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশপ্রাপ্তদের কেউ কেউ তাদের সপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করেছেন। শুনানিশেষে একযোগে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। তবে আরো একবার সতর্ক করতে অভিযান শুরুর আগে মাইকিং করা হবে। কোনওভাবেই অবৈধ দখলদারদের ছাড় দেয়া হবে না।