রাজীব চৌধুরী, কেশবপুরঃ যশোরের কেশবপুর উপজেলার ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের ত্রিমোহনী বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের উপর একটি ব্রিজের অভাবে ২০ গ্রামের মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন হাজারও যাত্রী ও শত শত শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহায়ে আসছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবী গ্রামবাসীদের। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এখানে একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহু আবেদন-নিবেদনও করা হয়েছে, কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেশবপুর উপজেলা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে ত্রিমোহিনী বাজারের পাশে কপোতাক্ষ নদের ওপর মাত্র আধা কিলোমিটার একটি ব্রিজের অভাবে হাজার হাজার মানুষকে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ত্রিমোহিনী এলাকার মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সাতক্ষীরার মানুষকে যশোর অঞ্চলে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু একটি মাত্র ব্রিজের অভাবে আধা কিলোমিটার পথ যেতে এসব মানুষকে ঘুরতে হয় প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ। যা ভুক্তভোগীদের জন্য বিড়াম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। নদ তীরবর্তী দেয়াড়া, কাশিয়াডাঙ্গা মানুষের বসবাস। সেখানে যোগাযোগের তেমন কোন উন্নয়ন ব্যবস্থা না হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক জরুরী সুযোগ-সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে ওইসব গ্রামের মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই আধুনিকতার যুগে এসে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও ত্রিমোহিনী বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের ওপর দিয়ে পারাপারের জন্য আজও কোন ব্রিজ নির্মান হয়নি। যার কারণে কপোতাক্ষ নদের ওপারের এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। ওই গ্রাম গুলোতে সবচেয়ে বেশি ইরি ধান উৎপাদন হয়। যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোনো পথ না থাকায় স্থানীয় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ কৃষি পণ্যসামগ্রী সহজভাবে বাজারজাত করতে না পারায় নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেকটা বাধ্য হয়েই মহাজনদের কাছে চলমান বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে কৃষি পণ্য বিক্রি করছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসীর দাবি থাকলেও কারো যেন মাথা ব্যথা নেই।
ত্রিমোহিনী পোস্ট-ই সেন্টারের উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম মুকুলসহ এলাকাবাসি জানান এলাকার দু‘পারের মানুষ নিজেরা চাঁদা দিয়ে বাঁশ ও কাঠ ক্রয় করে নির্মাণ করেছেন বাঁশ ও কাঠের দ্বারা তৈরি সাঁকো।
কিন্তু অর্থাভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাঁশ ও কাঠের দ্বারা তৈরি সাঁকোটি মেরামত না করায় তা ভেঙ্গেচুরে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল কিন্তু কোনগতিকে সামান্যভাবে মেরামত করে সাধারণ মানুষ চলাচল করছে। তাই সাধারণ মানুষের সাঁকোটির উপর দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মাত্র আধা কিলোমিটারের এই ব্রিজটি নির্মিত হলে অত্র এলাকার মানুষের অনেক উপকার হতো এবং কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পেতো। কপোতাক্ষ নদের উপর ব্রিজটি নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকাবাসী।