করোনার প্রভাবে কাকড়া ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-১৪ - ১৯:৩১

দাকোপ, খুলনা : বাংলাদেশের কাকড়া কুচের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগই রপ্তানী হতো চীন দেশে।আর এসকল কাকড়ার সিংহভাগই যেত খুলনার দাকোপ,কয়রা,পাইকগাছাসহ দক্ষিনাঞ্চলের বেশ কয়েকটি উপজেলা থেকে ।বাগদা ও গলদা চিংড়ির ব্যবসায় গত বেশ কয়েক বছর মন্দা যাওয়ায় ওই সকল ব্যবসায়ীরা কাঁকড়ার লাভ জনক ব্যবসাটি বেছে নিয়েছিল এবং চিংড়ির ন্যায় দাকোপে শত শত কাকড়ার ঘের গড়ে ওঠে।এ সকল ঘেরে চাষ করা ও সুন্দরবন থেকে ধরা কাকড়ার ব্যবসাটি দাকোপে যখন বেশ জমে উঠেছে ঠিক তখনই ব্যসায়ীদের মাথায় পড়লো বড় ধরনের আঘাত। করনাভাইরাসের কারনে চীনে কাকড়া রপ্তানী বন্ধ,হঠাৎ এভাবে বন্ধ হতে পারে কোন ব্যবসায়ী কখনও কল্পনাও করতেও পারেনি ।কাকড়া রপ্তানী চীনে বন্ধ থাকায় শুধুমাএ দাকোপেই কয়েক কোটি টাকারও কাকড়া কুচে মরে পচে সব শেষ হওয়ার পর কিছুদিন হলো কিছু কিছু কাকড়া আমদানি শুরু করেছে তবে আগের মত রমরমা সেই বানিজ্য নেই।দাকোপের চালনায় কাকড়ার ব্যবসায়ীদের লঞ্চঘাট এলাকায় রিতীমত একটি মার্কেটও গড়ে উঠেছে,রয়েছে এদের নিজস্ব সমিতি।সমিতির সাধারন সম্পাদক তপন তরফদারের সাথে এ বিষয় কথা হয় তিনি জানান ২ কোটি টাকার কাকড়া প্রায় সব নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর ানেকদিন ব্যবসা বন্ধ থাকার পর কিছুদিন হলো কিছু কিছু আমদানি শুরু করেছে চিন,চীন কাকড়া না নিলে আমাদেও কোন ব্যাবসা হয় মানে ভাল লাভ হয় না।২৪০০ টাকা কেজি দরের কাকড়া ৫০০ টাকা াার১৪০০ টাকা কেজি দরের কাকড়া ২০০ টাকায় বাধ্য হয়ে বিকরি করতে হয়েছে আমাদের ্॥ সকলের মাথায় রিতীমত বাজ পড়েছিল। এখন ডিমেতালে কোন প্রকার ব্যবসাটি শুরু হলেও তেমন কোন লাভ নেই কাকড়ার ব্যবসায় এমনটি জানালেন দাকোপ,কয়রা,পাইকগাছার উপজেলার কাকড়ার ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে বিষয়টি বিবেচনার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন কাকড়া সমিতির ব্যবসায়ীনেতারা।আর এ বিষয় মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানান এ ব্যাপারে আমাদের কোন চিঠিপএ আসেনি আমরা এ বিষয় কিছু বলতে পারবো না।