কাঁচামরিচ আমদানি শুরু, কমছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-২৪ - ১২:০৬

ঢাকা অফিস : দীর্ঘ এক বছর পর চলতি সপ্তাহ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারো ভারতীয় কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। দেশে উৎপাদিত কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে যাওয়া এবং খোলা বাজারে দাম বাড়ায় ভারত থেকে মরিচ আনা হচ্ছে। অন্যদিকে, আমদানি বাড়ায় দেশের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ।

চলতি মৌসুমে বন্যার কারণে মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সরবরাহ সংকটে বাজারে বেড়ে গেছে দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতের বিহার রাজ্য থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। যা সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন, ‘বন্যার কারণে কাঁচা মরিচের পরিমান কমেছে, তবে পাইপ লাইনে পণ্য আছে যা বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করবে, যাতে বাজারে পণ্যের দাম উর্ধ্বমুখী না হয়।’

তবে আমদানি করা কাঁচামরিচে কেজি প্রতি ২১ টাকা করে শুল্ক গোনায় অভ্যন্তরীন বাজারে মরিচের দাম কমছে না।

এদিকে, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য পর্যাপ্ত এলসি খুলেছেন আমদানিকারকরা। বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপে সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে আমরা পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি করছি। ঈদে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আমাদের পর্যাপ্ত পরিমানে পেঁয়াজ পাইপলাইনে আছে।’

এক সপ্তাহ আগেও বন্দর দিয়ে প্রতিদিন পেঁয়াজ আমদানি হতো ১৫ থেকে ২৫ ট্রাক। আর বর্তমানে আমদানি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ ট্রাক পেঁয়াজ। হিলি পানামা পোর্টের মুখপাত্র সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ বলেন, ‘পেঁইয়াজ আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।’

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত সপ্তাহে ৭ হাজার ৭০৬ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।