আজগর হোসেন ছাব্বিরঃ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর দাকোপ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ী বিধবস্তসহ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঝুঁকির মুখে আছে মাঠের তরমুজ।
সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে সব থেকে বেশী ক্ষতে হয়েছে। সেখানকার বটবুনিয়া বাজারের প্রায় ৩০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্নরুপে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়নের ৪, ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ডে ১০ টি বসতঘর বিধ্বস্ত এবং বহু গাছপালা পড়ে গেছে এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রনজিত মন্ডল। কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল দাবী করেছেন তার ইউনিয়ন পরিষদের আর, ডি সৌর প্যানেল, রূপান্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবসহ ৯ টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দাকোপ, বাজুয়া, লাউডোপ, কৈলাশগঞ্জ, বানীশান্তা ও পানখালী ইউনিয়নে ঝড়ের সাথে হওয়া শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের লক্ষ লক্ষ টাকার তরমুজ বিনষ্ট হয়েছে। সেখানকার একাধীক চাষি জানিয়েছেন এভাবে ধারাবাহিক বৃষ্টি হলে পানি জমে মাঠে থাকা তরমুজসহ অন্যান্য সব্জি পঁচে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়া চালনা পৌরসভা সহ অন্যান্য ইউনিয়নে বেশ কিছু বসতঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গাছপালা বিনষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে বটবুনিয়া বাজারের বিধ্বস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, নদীর তীরবর্তী বটবুনিয়া বাজারে দূর্বল অবকাঠামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি। এখন ডি ফরম তৈরীর কাজ চলছে। ক্ষতির পরিমান নির্নয় করে তাদেরকে সরকারি সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।