দাকোপ প্রতিনিধি : দাকোপের কালাবগী ষ্টেশন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিসে ডেকে নিয়ে মারপিট ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভিকটিমের স্ত্রী রাফেজা বেগম। এ ঘটনায় জড়িত সরকারী কর্মকর্তা এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ষ্টেশন কর্মকর্তা অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি বনদস্যু কানেক্টেড বলে আখ্যা দিয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল ১০ টায় কালাবগী নিজ এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় রাফেজা বেগম বলেন, আমার স্বামী কালাবগী গ্রামের মৃঃ আবুল কাশেম গাজীর পুত্র আঃ সালাম গাজী একজন পেশাদার জেলে। বৈধ পাশ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। ঘটনার দিন গত ২৩ জুন বিকালে কালাবগী ষ্টেশনের বনরক্ষি মিঠু অফিসের দালাল শফিকুলের সহযোগীতায় বিশেষ কথা আছে বলে আামার স্বামীকে কালাবগী বৃহস্পতি বাজার পল্টনে দেখা করতে বলে। তাদের কথায় সরল বিশ্বাসে সেখানে গেলে কালাবগী ষ্টেশন কর্মকর্তা শ্যামাপদ রায়, মিঠু ও শফিকুল তাকে ট্রলারে তুলে অফিসে নিয়ে যায়। এ সময় আমার স্বামীর কাছে থাকা একটি মোবাইলের মেমোরী কার্ডের দাবী করে বলে সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলিশ শুয়ারের বাচ্চা তোর এত বড় সাহস তোকে বনদস্যু বাহিনীর সদস্য হিসেবে চালান দেব এ কথা বলে বেদম মারপিট শুরু করে। তারা ঘাট থেকে আমাদের জেলে নৌকা নিয়ে যায়। এভাবে বিকাল থেকে রাত ৪ টা পর্যন্ত তাকে মারপিট ও অমানুষিক নির্যাতন করে। আমার স্বামী মারাতœক অসুস্থ হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য মোন্তাজ সানা কওসার সানার সহযোগীতায় পরের দিন সন্ধ্যায় ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মুচলেকার দিয়ে ছাড়িয়ে দিয়ে এনে দাকোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। এ সময় নানা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার স্বামীকে গোন চুক্তিতে মাছ মারার সুযোগ দিয়ে আসছিলো এস ও শ্যামাপদ রায়। কিন্তু সম্প্রতি সেটি প্রকাশ পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এ কাজ করেছে। মেমোরী কার্ডে চুক্তির সকল তথ্য থাকায় সেটি হেফাজাতে নিতে মরিয়া হয়ে আমার স্বামীকে মারপিট করেছে। তিনি বলেন বাড়ী থেকে মোবাইলের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সকল তথ্য প্রমান আমাদের কাছে আছে। বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ না করার জন্য তারা বন ও ডাকাতির মামলায় জড়ানোসহ প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে, এমনকি আমার ভাই বিল্লালকে অফিসে নিয়ে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ষ্টেশন কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার ২ দিন আগে বনে সাত্তার বাহিনীর সাথে রক্ষিদের ব্যাপক গুলি বিনিময়সহ অস্ত্র উর্দ্ধার হয়। সালাম বনে তাদের সহযোগী হিসাবে কাজ করে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জনপ্রতিনিধির জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোবহান গাজী, তাসলিমা বেগম, ওসমান গনি, আবুল গাজী, অলি গাজী, আসমা বেগম, ময়না বেগম, জরিনা বেগম, সখিনা বেগম, আমিন সানা, জামেলা বেগম, রেশমা বেগম, নাসরিন বেগম প্রমুখ।