চট্টগ্রাম ব্যুরো:চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল ও সড়ক সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে— এমন আশ্বাস দিলেন এবার রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
কালুরঘাটের বর্তমান সেতুটির ৮০ মিটার উত্তরে নতুন সেতুটি নির্মিত হবে। সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলের জন্য থাকবে প্রয়োজনীয় উচ্চতা।
বুধবার (৭ অক্টোবর) সেতু নির্মাণের স্থান ঘুরে দেখে রেলপথ মন্ত্রী এ কথা জানালেন। সেতু নির্মাণের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের প্রথম দিকে কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সেতু নির্মিত হবে— যেখানে রেলপথ এবং সড়কপথ একসাথে থাকবে।’
১৯৩১ সালে কালুরঘাট সেতুটি মিটারগেজ লাইন বিশিষ্ট রেল সেতু হিসেবে নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে সড়ক সেতু যুক্ত করে রেল কাম সড়ক সেতুতে রূপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেতুটি রয়েছে জরাজীর্ণ অবস্থায়।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘সেতুটি আগেই নির্মাণ করা যেত। কিন্তু একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল— যেখানে আলাদা রেল সেতু হবে নাকি রেল ও সড়ক একসাথে হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদেশি ঋণদানকারী সংস্থা কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) সাথে আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু এখন ঠিক করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।’
মন্ত্রী জানান, চট্টগ্রামবাসীর জন্য যেমন এ সেতু খুবই দরকার তেমনি ভবিষ্যতে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি রেললাইন সংযোগ স্থাপনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা অতি জরুরি। ২০২২ সালের মধ্যে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন চালু হয়ে যাবে। একই সময়ের মধ্যে যাতে সেতুটির নির্মাণ শেষ করা যায় সে চেষ্টা সরকার করবে।
কালুরঘাট সেতু পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোসলেম উদ্দিন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান, বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।