কেশবপুরে মৎস্য ঘেরের ভেড়ী কেটে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০১৭-১১-২৪ - ২১:১২

এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) : যশোরের কেশবপুরের বিল খুকশিয়ায় মৎস্য ঘেরের ভেড়ী কেটে জোয়ার সৃষ্টি করে ২০ লাখ টাকার মাছ অন্যের ঘেরে নেওয়ার প্রতিবাদে কলাগাছি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেশবপুরের আড়–য়া গ্রামের সেয়দ আলী গাজীর পূত্র আব্দুল গফ্ফার গাজী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে বলেন, তিনি ২০১৩ সালে বিলখুকশিয়ার ৩৫০ বিঘা জমি নিয়ে একটি মৎস্য ঘের নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে ঘেরের ভেড়ী নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকা অবস্থায় ডুমুরিয়া উপজেলার বরুনা গ্রামের রিয়াদ আলী সরদারের ছেলে নিউ বিপ্লবী কমিনিস্ট পার্টির সেকেন্ড ইন কমান্ড নুর ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রসীরা তার লোকজনকে মারপিট করে ঘেরটি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। ভেড়ী নির্মাণের টাকাও তারা ফেরত দেয়নি। পাবর্তীতে তিনি ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ধামালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রোজোয়ান মোল্যার সহযোগিতায় বিল খুকশিয়ায় ঐ ঘের সংলগ্ন ৪০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আরো একটি মৎস্য ঘের করেন। ঘেরটিতে তিনি গলদা, বাগদা-সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করেছেন। গত ২৯ অক্টোবর নূর ইসলাম ও শ্রীমন্ত মন্ডলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রাতের আধারে আব্দুল গফ্ফার গাজীর মৎস্য ঘেরের ভেড়ী কেটে জোয়ার সৃষ্টি করে ঐ ঘের থেকে ২০ লাখ টাকার মাছ তাদের ঘেরে নিয়ে নেয়। বিষয়টি নিয়ে গফ্ফার গাজী সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার আব্দুস সামাদ কয়েক দফা বৈঠক করে উভয় পক্ষে ৪ জন প্রতিনিধির মাধ্যমে  নূর ইসলামের মৎস্য ঘেরের মাছ ধরার সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। সেই মোতাবেক দুই দিন মাছ ধরার পর ৩য় দিন মাছ ধরারর সময় নূর ইসলাম বাহিনী জেলেদের এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে ২ লাখ টাকা মূল্যের জাল, ১ লাখ টাক মাছ ও তিনটি নৌকা লুট করে নেয়। এদিকে গত ২৩ নভেম্বর বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে দৈনিক যশোর, দৈনিক সময়ের খবর, দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকা-সহ কয়েকটি পত্রিকায় “সন্ত্রাসী গফ্ফার বাহিনীর অত্যাচারে ডুমুরিয়ার বরুনা-দহকুলা গ্রামের হিন্দুরা অতিষ্ঠ” শিরোনামে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয় যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বর্তমানে নূর ইসলাম বাহিনী বিলখুকশিয়া এলাকায় স্বশস্ত্র অবস্থায় মহড়া দেওয়ায় তিনি তাঁর মৎস্য ঘেরে যেতে পারছেন না। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বিল খুকশিয়া পাড়ের অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।