এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন এমপি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এই সরকারে অধীনে যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের এমন কোন বেহাল অবস্থা হয়নি যে কোন দল নির্বাচনে আসবে না বা নির্বাচন নিয়ে কোন সংলাপের প্রয়োজন আছে। আমরা জানি বিদ্যুত সর্ক খাইলে মানুষ মারা যায়। অথচ ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে ৯৬ তে রেখে যাওয়া ৪ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ খেয়ে ফেলে ৩ হাজার মেঘাওয়াটে নিয়ে আসে। বর্তমান দেশে বিদ্যুতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়ে ১৬ হাজার মেঘাওয়াটে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা সরকারকে আবারও ক্ষমতায় এনে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হবে। কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রলায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সপ্তাহ ব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। যশোর জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেন, উনবিংশ শতাব্দীর পথিতযশা বাঙ্গালী কবি ও নাট্যকর মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা। বাংলা কবিতায় অমৃত্যক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করে তিনি বাংলা সাহিত্যে নুতন মাত্রা যোগ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন যশোর-২ আসনের এমপি এ্যাড. মনিরুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন ও পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল আলম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মাহামুদ হাসান বুলু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ও সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত।
সঞ্চলনা করেন যশোর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধান কুমার কুন্ড ও জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন পরিষদের সভাপতি এটিও মাসুদুর রহমান। আলোচনা সভার পূর্বে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন এমপি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক মধুমঞ্চের প্রবেশ দ্বারে ফিতাকেটে ও শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে সপ্তাহ ব্যাপী মধুমেলার শুভ সুচনা করেন।