এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) : যশোরের কেশবপুরে সবজী ও সমলা জাতীয় মিশ্রচাষ করে উচ্চশিক্ষিত যুবক হোসেন আলী এখন সাবলম্বি হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আনছার আলী শেখের পূত্র হোসেন আলী শেখ ২০১৪ সালে এমএ পাশ করে চুকরীর জন্য চেষ্টা করেছে দীর্ঘদিন। সুবিধাজনক চাকুরী না পেয়ে হতাসার মধ্যদিয়ে অভিশপ্ত বেকার জীবন-যাপন করছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত। সুন্দর অবিষ্যতের আশায় চুকুরীর পিছনে ঘুরে সময় নষ্ট না করে তিনি চাঁষের দিকে ঝুঁকে পড়েন। কৃষি অফিস এবং এলাকার সফল কৃষকদের পরামর্শ নিয়ে তার পৈত্রিক ২৩ শতক জমিতে সবজী ও সমলা জাতীয় মিশ্রচাষ চাষ শুরু করেন। উত্তম রূপে চাষ দিয়ে ঐ ২৩ শতক জমিতে গত বছর মরিচ, হলুদ ও ওলের চাকির চাষ শুরু করেন। ভালোভাবে পরিচর্যা করে ঐ জমিতে ৫০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হলেও তিনি সবজীর আশানুরুপ ফলন পান। চলতি মৌসুমে ঐ জমি থেকে উৎপাদিত হলুদ বিক্রি করেছে ৬৩ হাজার টাকা ও ওলের চাকি বিক্রি করেছে ৮ হাজার টাকা। মরিচের ফলন অব্যহত রয়েছে এবং মরিচ ফলেছে থোকায় থোকায়। হোসেন আলী শেখের হিসাব মতে গতকাল পর্যন্ত ৮৮ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন তিনি এবং আগামীতে আনুমানিক আরো ৭০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সবজী ও সমলা জাতীয় মিশ্রচাষ করে অবিষ্যতে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে তিনি আশাবাদি। অধিক লাভের আশায় এই পদ্ধতিতে আরো জমিতে চাষের আওতায় আনতে আগ্রহী তিনি ।
এব্যাপরে হোসেন আলী শেখ জানান, লেখা-পড়া শিখে শুধু চাকরীর পিছনে ছুটে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমার মত সবজী ও সমলা জাতীয় মিশ্রচাষ করে সাবলম্বি হওয়ার জন্য বেকার যুবকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।