কয়লার বিষ গিলে খাচ্ছে শত বছরের গাছ ও মানুষ : নিশ্চুপ পরিবেশ অধিদপ্তর

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-২৬ - ১৬:১০

বিশেষ প্রতিনিধি (যশোর) : যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়ায় আবাসিক এলাকা ও সড়কের পাশে স্তুপকৃত কয়লা গিলে খাচ্ছে শত বছরের সরকারি গাছ। এছাড়া কয়লা থেকে নির্গত দূষিত বায়ু আক্রান্ত করছে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকে। কয়লা সংস্পর্শে থাকা অধিকাংশ গাছ শুকিয়ে মরে গেছে। নিশ্চুপ ভূমিকায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
অভয়নগর নওয়াপাড়ার আকাশে-বাতাসে ভাসছে ইন্দোনেশিয়া ও সাউথ আফ্রিকা থেকে আমদানিকৃত কয়লার বিষ। আর এ কয়লা আবাসিক এলাকা ও মহাসড়কের পাশে ড্যাম্পিং করায় শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ঠে আক্রান্ত হচ্ছে। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে বসবাস করছে এলাকাবাসী। খাবারে মিশে যাওয়া কয়লার বিষে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলে। গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখাগেছে, যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া বেঙ্গল গেট এলাকা থেকে শুরু করে চেঙ্গুটিয়া পর্যন্ত রেলওয়ের দু’পাশে আমদানিকৃত কয়লা এনে ড্যাম্পিং করে রাখা হয়েছে। যার সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে নওয়াপাড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ আবাসিক এলাকায়।
এলাকাবাসি জানায়, ড্যাম্প থেকে কয়লা ভেকু কিংবা স্কেভেটরের সাহায্যে ট্রাক লোড করা হয় তখন ওই এলাকা ধুলায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আর এই ধুলা মহাসড়কে চলাচলকারী মানুষ ও এলাকাবাসীর নিশ্বাসের সাথে মিশের জীবন যাত্রাকে ফেলছে হুমকির মুখে। বসতিপূর্ণ এলাকার বাড়ি ঘরের মধ্যে কয়লার বিষক্রিয়া ও ধুলা প্রবেশ করছে। উপায় অন্ত না পেয়ে এলাকাবাসি বাড়ি ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রেখে বসবাস করছে। ভূক্তভোগীদের দাবি, ব্যবসা বাণিজ্যের পণ্য হিসেবে কয়লা ব্যবহার হয়ে আসছে খুব গুরুত্বের সাথে। কিন্তু এই কয়লা বসতিপূর্ণ এলাকায় না রেখে খালি জায়গায় রেখে লোড-আনলোড করলে এলাকার মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ফিরে পেত। অন্যদিকে মহাসড়কের পাশে কয়লার ড্যাম্প সড়কে করেছে সংকীর্ণ। যে কারণে এখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে যেন মাথা ব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে কোন খবরই জানেনা। তাদের কর্মতৎপরতা না থাকায় বিশ্ময় প্রকাশ করেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
নওয়াপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি সাংবাদিকদের ফোন করে দাওয়াত দেন। তিনি জানান, ‘আমাদের বাড়িতে এসে একটু মাংশ ভাত খেয়ে যান। কয়লার গুড়ার সাথে মাংশ ভাত খেতে কি মজা একটু দেখে যান বলে তিনি পত্রিকার মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।