খুলনা অফিসঃ মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকাল রবিবার ১৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষার পর তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নগরীর নিরালা এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি পুলিশ কনস্টেবল। এক সপ্তাহ আগে তিনি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে খুলনায় আসেন বাকি দুইজন কুষ্টিয়ার মিরপুরের বাসিন্দা ও সম্পর্কে মা ও মেয়ে। খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সজাত আহমেদ সময়ের খবরকে বলেন নগরীর নিরালা এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি পুলিশ কনস্টেবল আলী আজম খান (৫৯) ঢাকার পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। গত এক সপ্তাহ আগে তিনি বাড়িতে আসেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত শনিবার তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিনি বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্ত অপর দুইজনের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলায়। কুষ্টিয়া জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম সময়ের খবরকে বলেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বাসিন্দা চম্পা(৩২) ঢাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকের নার্স হিসাবে কর্তরত। কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বাসায় আসলে তখনই ঐ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছিলো। কিন্তু বাড়িতে থেকেই চম্পা(৩২) এবং তার মা তহমিনা(৭০) বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৪ তারিখে তাদের নমুনা পাঠানো হয় খুলনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে। আজ(গতকাল) তাদের ফল পজেটিভ আসলো। বাড়িতেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের মালিকুলার ল্যাবে মোট ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এদিকে খুলনায় এছাড়া জেলার রূপসায় আক্রান্ত দুই শিশু এবং স্বাস্থ্য কর্মীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের উপধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ জানিেেয় খুলনা মেডিকেল কলেজের তিনজন চিকিৎসক বর্তমানে ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে ডাঃ মাসুদ আহমেদ এর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া রূপসায় করোনায় মৃত্যুবরণকারী নুর আলমের দুই ছেলে ও ইপিআই টেকনিশিয়ান শরিফুল নিজ বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানাযায়, যশোর, নড়াইল, খুলনা ও বাগেরহাট ও চুয়াডায়ায় একজন করে মোট ৫ জন রোগী এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছে। তবে যশোরের স্বাস্থ্য কর্মীর আরও একবার পরীক্ষা করা হবে।