খুলনা : বার বার বাঁধ ভাঙে, সংস্কারও হয়, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ফণির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় খুলনার অধিকাংশ বাঁধ। উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয় হাজারো মানুষ। এরপরও স্থায়ী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ভৌগলিক দিক থেকে প্রাকৃতিক দূর্যোগপ্রবণ এলাকার মধ্যে অবস্থান খুলনার। এরই মধ্যে ঘুর্ণিঝড় সিডর, আইলা, ফণির তাণ্ডব দেখেছে এখানকার মানুষ। তাই যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগেই আতংকে থাকে তারা।
দুর্যোগ থেকে বাঁচতে ৬০ এর দশকে উপকূলীয় এলাকায় নির্মাণ করা হয় বেড়িবাঁধ। এরপর বার বার সংস্কার হলেও, নেয়া হয়নি স্থায়ী কোন পদক্ষেপ।
দুর্যোগ মোকাবিলায় টেকসই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই বলে জানান জেলা প্রসাশক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। তিনি বলেন, ঈদের পর আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জন প্রতিনিধিদের নিয়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি সেমিনার করবো। সেখানে সবার মতামত নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে আমরা চিঠি পাঠাবো।
দ্রুত বাঁধ নির্মাণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। তিনি জানান, বাঁধগুলোকে নতুনভাবে নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে এই অঞ্চলের সকল বাঁধই মেরামত করা হবে। বাঁধগুলো মেরামতের মাধ্যমে এই অঞ্চলের তলিয়ে যাওয়ার যে একটা আশংকা করা হচ্ছে, তা থেকে সবাইকে মুক্ত করতে পারবো।
টেকসই বাঁধ নির্মাণে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু। তিনি বলেন, আমরা এই সমস্যা নিরসনে পদক্ষেপ নিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই এ সকল ঝুঁকিপুর্ণ বাঁধ নির্মাণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রাকৃতিক দূর্যোগের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনে ভরাট হচ্ছে নদীর তলদেশ। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পানির উচ্চতা। তাই যত দ্রুত সম্ভব টেকসই বাঁধ নির্মাণে পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন, এমনটাই প্রত্যাশা উপকূলের মানুষের।