খুলনায় কলেজ ছাত্রীকে সোমাকে হত্যা চেষ্টাকারীদের গ্রেফতার দাবি

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-০৩ - ১৯:৩৭

খুলনা : খুলনা মহানগরীর বয়রাস্থ সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী মাহফুজা ইসলাম সোমাকে (১৯) হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামি দুই পিবিআই সদস্য এএসআই শরীফ আবুল কালাম ও কনস্টেবল শরীফ নোমানকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে তার সহপাঠী, শিক্ষক, পরিবার ও এলাকাবাসী। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর পিকসার প্যালেস মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। অন্যথায় থানা ঘেরাও করে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশকে বাধ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে বলা হয়, সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অংশ হিসেবে গত ২২ নভেম্বর গভীর রাতে নগরীর বয়রা পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় কলেজছাত্রী সুমার ওপর হামলা চালানো হয়। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পেটে আঘাত করে এবং নগদ টাকাসহ দেড় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। সোমা এখনও মূমুর্ষ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় সোমার মা মাহমুদা খানম বাদী হয়ে ২৬ নভেম্বর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রতিবেশি এএসআই শরীফ আবুল কালাম এবং কনস্টেবল শরীফ নোমানের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে ২৭ নভেম্বর খালিশপুর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি এএসআই শরীফ আবুল কালাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই খুলনায় এবং অপর আসামি কনস্টেবল শরীফ নোমানও পিবিআই ঢাকায় কর্মরত রয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, আসামিরা পুলিশ বিভাগে কর্মরত থেকে অফিসও করছে। কিন্তু তাদের গ্রেফতারে গড়িমসি করা হচ্ছে। আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বক্তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সম্মিলিত নারী শক্তি, সম্মিলিত যুব শক্তি এবং বয়রা এলাকাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মো. নাজমুল হুদা। বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মুজিবুল হক, নারী নেত্রী সালমা ইয়াসমিন রিনা, মানবাধিকার সংগঠন অধিকার খুলনার ফোকাল পার্সন মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, খাদিজা পারভীন, মো. মাহাতাব হোসেন এবং কলেজ ছাত্রী সোমার মা মাহমুদা খানম।