খুলনাঃ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার যোগীপাল ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় গর্ভবতী মায়ের জন্য ৩০ কেজি পুষ্টি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৬ এপ্রিলে যোগীপোল ইউনিয়নের তিন জন নারী চাল বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ এনে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নিকট আবেদন করেছেন। আবদেনকারীরা হলেন, ওই ইউনিয়নের জাব্দীপুর গ্রামের সোহাগ হেসেন স্ত্রী মোসা: আসমা খাতুন, খানবাড়ী তেলিগাতী গ্রামের বাচ্চু মোল্লার স্ত্রী শিল্পী বেগম ও এস এম আব্দুল বাতেনের স্ত্রী মেহেরুন নেছা।
শিল্পী বেগম ও মেহেরুন নেছার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা প্রশাসনের ওয়েব সাইট থেকে জানতে পেরেছেন তারা এ খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতাভুক্ত। তবে তারা এখন কার্ড হাতে পাননি। শিল্পী বেগমের কার্ড নং ৪৫৯ ও মেহেরুন নেছার কার্ড নং ৪৪৮। কার্ডটি নিয়ে তারা শুরু থেকে এ পর্যন্ত সব চাল উত্তোলন করতে চান।
তবে মোসা: আসমা খাতুন আবেদনে উল্লেখ করেছেন, তিনি নয় মাসের অন্তসত্তা। তিনি এ খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় চার বার চাল উত্তোলন করেছেন। এখন থেকে ডিলার মো: কামাল আহমেদ তাকে চাল দিতে অস্বীকার করছেন। তিনি চাল আনতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হুমকির শিকার হয়েছেন। তিনি অন্তসত্তা অবস্থায় চাল উত্তোলন করতে পারছেন না। তিনি যাতে চাল উত্তোলন করতে পারেন তার সুব্যবস্থা চেয়েছেন।
তবে চাল বিতরণকারী ডিলার মো: কামাল আহমেদ বলেন, ‘আমি স্থানীয় একটা রাজনিতীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। ২০১৭ সাল থেকে ৪০০ জনকে এই চাল বিতরণ করে আসছি। কখনো কেউ অনিয়মের অভিযোগ করেনি। বর্তমানে স্থানীয় একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব করাচ্ছে। আমি চাল বিতরণে কোন প্রকার অনিয়ম করিনি। একজন মহিলাকে কার্ড ছাড়া এতদিন চাল দিয়েছি। তিনি অন্তসত্তা সেই মানবিক কারনে এটা করেছি। তার সকলের সামনে স্বীকার করেছেন যে এদিন চাল পেয়েছেন। কার্ডটি ইস্যু না করায় তারা স্থানীয় মহলের চক্করে পড়ে এসব করছে। আর বাকি দুইজনের আবেদন পুরোপুরি মিথ্যা। তারা চাল পেয়েছে সে প্রমান আছে।’
দিঘলিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের রিপোর্ট উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হাফিজ-আল-আসাদ, ‘রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’