নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৭দিন ব্যাপী বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। গত ৪ দিনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খুলনা মহানগরসহ উপজেলায় অভিযানে পরিচালনা করে ইয়াবা, গাজাসহ ১৭ জনকে আটক করেছেন। এ সময়ে তাদেরকে জেল জরিমানা প্রদান করা হয়। খুলনা মহানগরী, ডুমুরিয়া, রূপসা ও তেরখাদা উপজেলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে হালিম হাওলাদার (৩২), মোঃ মিলন শেখ (২২), জি এম রবিউজ্জামান (৪৮), গাজী সেলিম (৪৮), আঃ মালেক (৪০), মো: হৃদয় হোসেন, সাইফুল মোল্যা ওরফে কাকন (৪০), মিলন বিশ্বাস (৪০), মো: সুমন সরদার ওরফে বাবু (২২), মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪০), হামিদ শিকদার, টিপু সুলতান (২৬), রিনা বেগম (৩০), তানিয়া (২২), মোঃ আলমীগ ও মনিরা বেগম (৩০)। এদের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত মাধ্যমে আসামি আঃ মালেককে ৩ হাজার টাকা, গাজী সেলিমকে ৫ হাজার টাকা, জি এম রবিউজ্জামানকে ৫ হাজার টাকা, মো: সুমন সরদার ওরফে বাবুকে ৫ হাজার টাকা, মোঃ শহিদুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা, মনিরা বেগমকে ৩ হাজার টাকা, মোঃ আলমগীরকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। এছাড়া মোঃ হুদয় হোসেন ও সাইফুল মোল্যা ওরফে কাকনকে কে ৬ মাস ও মিলন বিশ্বাসকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনাজ বেগম এবং তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিটন আলী স্ব স্ব এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। আসামীরা খুলনা মহানগরী, রূপসা, তেরখাদা ও ডুমুরিয়া এলাকার বাসিন্দা।
খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্র মতে, সংস্থার উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামানের তত্ত্ববধানে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭দিন ব্যাপী মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সংস্থার ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক হাওলাদার সিরাজুল ইসলাম, ‘খ’ সার্কেলের পরিদর্শক সাইফুর রহমান রানা ও গোয়েন্দা শাখার পারভীন আক্তার সমন্বয়ে গঠিত পৃথক তিনটি টিম খুলনা মহানগরসহ উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে চালান।
উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে খুলনার শহর ও উপজেলায় গাজা, ইয়াবাসহ মাদক সেবন ও বিক্রেতাদের আটক করা হচ্ছে। আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল-জরিমানা প্রদান করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউএনও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।