নিজস্ব প্রতিবেদক : জায়গা-জমি সংক্রান্ত জের ধরে আপন মা-বাবাসহ ভাইকে জোর পুর্বক ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। এ সময় ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। বৃদ্ধ পিতা-মাতা এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। নগরীর নতুন বাজার ওয়াপদা ভেড়ীবাধ রোড খ্রীষ্ট্রান গলি এ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোঃ হাফিজুর রহমান মন্টু খুলনা সদর থানায় ৪জন নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার নং-২৪-০৩-১৯। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
খুলনা সদর থানার এসআই মোঃ দেলোয়ার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে দেখি জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে বিরোধ। আমি তাদের বলে আসছি বৃদ্ধ মা-বাবা যেনো বাইরে না থাকে। তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ মধ্যে বসাবসি করে মিমাংসা করার উদেগ্যা নেয়া হবে।
২৫ মার্চ (সোমবার) দুপুরে নতুন বাজার ঘটনাস্থলে গেলে গিয়ে দেখা যায়, ওয়াপদার পাশে আসব্পাত্র নিয়ে বৃদ্ধা মা জবেদা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, আপন মেয়ে (শম্মা বেগম) আমাকে সৎ মা উল্লেখ করে অভিযোগ দিতে পারে তাহলে এর চেয়ে বড় কষ্টো আর কি হতে পারে। সম্পত্তির জন্য কোন সন্তান মাকে সৎমা উল্লেখ করতে পারে। শম্পা বেগমের পিতা খলিলুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্ত্রীকে সৎ মা উল্লেখ করে থানায়ও অভিযোগ দিতে পারলো আমার মেয়ে শম্পা বেগম। আমার স্ত্রী সৎমা না আপন মা তা আপনারই খোজ খবর নিয়ে বের করেন। ঘর থেকে বের করে দিলে এখন এই খোলা আকাশের নিচে রয়েছি।
থানায় লিখিত অভিযোগে মোঃ খলিলুর রহমানের পুত্র মোঃ হাফিজুর রহমান মন্টু উল্লেখ করেন, নতুন বাজার ওয়াপদা ভেড়ীবাধ রোড খ্রীষ্টানগলি এলাকায় সরকারী জায়গায় পিতা-মাতা ও স্ত্রী সন্তান বসাবস করে আসছেন। পরে ওই জায়গার পজিশন হাফেজ আলী আকবরের কাছ থেকে ১৯৯৭ সালের ১৮ মার্চ ক্রয় করেন। সেখানে ঘর তৈরি করে বসাবস করছেন। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন পৌরকর, বৈদুৎসিক মিটার সব পিতা খলিলুর রহমানের পরিশোধ করে আসছেন। ভগ্নিপতি আব্দুল কাইয়ুম, বোন শম্পা বেগম , বোনের জামাই ইকবাল হোসেন মিঠু ও ভাগ্নি নাসরিন আক্তার ওই জায়গায় একটি গোলপাতা ঘরে থাকতো। পরবর্তীতে তারা একটি জাল পজিশনের কাগজ তৈরি করে ওই জায়গা তাদের বলে দাবি করেন। এরপর মা জবেদা বেগমকে সৎমা উল্লেখ করে মিথ্যা অভিযোগ দেয় থানায়। এমনকি তাকেসহ তার পিতা-মাতা ও স্ত্রীর সন্তানকে মারধর করে ঘরে তালা মেরে দেয়। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদ এসে তালা খুলে দেন এবং শালিস বিচার করে স্ব্ স্ব স্থানে থাকতে বলে। কাউন্সিলর চিকিৎসার জন্য বাইরে থাকার সুযোগে উক্ত সকল বিবাদী ২৩ মার্চ রাতে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয়ভীতি ও প্রাানাশের হুমকি দেন। পরের দিন ২৪ মার্চ সকালে তার বোন শম্পাবেগসহ উল্লিখ ৪ জন ঘর বাড়ি ভাংচুর ও তিনটি ঘরের সকল মালামাল ও স্বার্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শম্পা বেগম বলেন, আপনি সামনে সামনি এসে কথা বলেন সব বুঝিয়ে বলবো। মোবাইলে ওতো কিছু বলে বুঝানো যাবে না।
এ ব্যাপারে মোঃ হাফিজুর রহমনা মিন্টু বলেন, স্থাণীয় কাউন্সিলর বিদেশ যাওয়ার আগে শালিস বিচার করে রেখে যান। কাউন্সিলর বাইরে থাকায় এ সুযোগে তারা হামলা চালিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন।