খুলনা : উপকূলবর্তী জেলা খুলনার ১৭ থানায় ১৯ মাসে ১০৭ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। খুলনা মহানগরী এলাকায় ধর্ষণের পরিমাণ বেশি। ধর্ষণ হওয়া নারীদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়ষ ২৫ থেকে ৪০ এরমধ্যে। অধিকাংশ মামলা তদন্ত ও মেডিকেল রিপোর্টে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। মামলার আসামীদের একটি বড় অংশ সাত থেকে দশ মাস হাজতবাস করেছে। আবার কেউ কেউ পালিয়ে গ্রেফতার এড়িয়েছে। ২৫ শতাংশ মামলার এখনো চার্জশিট হয়নি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে অন্যান্য অপরাধের সংখ্যা অনেকাংশে কমেছে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সুত্র জানান, ধর্ষণের শিকার হবার পর খুমেক হাসপাতালের ওসিসি তে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এসব মামলা জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ও ব্লাস্ট আইনগত সহায়তা দিচ্ছে।
পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মে মাসে ছয়টি, জুনে চারটি, জুলাইয়ে সাতটি, আগস্টে ছয়টি, সেপ্টেম্বরে ছয়টি, অক্টোবরে চারটি, নভেম্বরে চারটি, ডিসেম্বর মাসে ছয়টি; ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পাঁচটি, ফেব্রুয়ারিতে সাতটি, মার্চে পাঁচটি, এপ্রিলে ছয়টি, মে মাসে একটি, জুনে দশটি, জুলাইয়ে সাতটি, আগস্টে পাঁচটি, সেপ্টেম্বরে এগারোটি, অক্টোবরে চারটি ও নভেম্বরে তিনটি।
খুমেক হাসপাতালের সূত্র জানান, ভিকটিমকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। আইনী সহায়তা দিতে সার্টিফিকেট প্রদানে বিলম্ব হচ্ছে না।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ আনিসুর রহমান জানান, থানায় ধর্ষণের অভিযোগ আসলে মামলা রেকর্ড করা হয়। এসব ঘটনা কখনো সত্য আবার কখনো মিথ্যা হয়। বাবা-মার অনুমতির বাইরে কণ্যা ঘর ত্যাগ করলে তাকে ফিরিয়ে আনার পর অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ করেন। অধিকাংশ ঘটনাই প্রেমজ সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ঘটছে। জেলায় সকল অভিযোগেরই দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া এখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। অপরাধ প্রবনতার হার কম।