রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে বরাবরের মতোই শুক্রবার পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে যশোরে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই অংশ।
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ অনুসারী হিসেবে পরিচিতরা দুপুরে শহরে বড় ধরনের একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন। বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর সভাপতি মোহিতকুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান মিন্টু, শ্রমিকলীগ নেতা কাজী আব্দুস সবুর হেলাল, নূরজাহান ইসলাম নিরা, মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল, মঈনুদ্দিন মিঠু, ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি সুখেন মজুমদার, ফারুক আহমেদ কচি, হাফিজুর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।
এদিকে,দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে দড়াটানা চত্বরে সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ছাড়াও এই কর্মসূচির মঞ্চে বর্ষীয়ান নেতা খয়রাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সদ্য বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান চাকলাদার মনি, রোকেয়া পারভিন ডলি, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদি হাসান, শফিকুল ইসলাম জুয়েল, আনোয়ার হোসেন বিপুল, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী প্রমুখ।
অন্যদিকে,বড়সড় মিছিল করেছেন সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটোর অনুসারীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষের কর্মসূচির বাইরে টিটোর এই কর্মসূচি শহরবাসীর দৃষ্টি কাড়ে।
বিকেল সোয়া চারটার দিকে শহরের ফায়ার ব্রিগেড মোড় থেকে মিছিলটি বের হয়ে একই স্থানে শেষ করা হয়।
মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন খালেদুর রহমান টিটো। তিনি ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে’ শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
খালেদুর রহমান টিটোর বড় ছেলে মাশুক হাসান জয় বলেন, মিছিলে শহর ও শহরতলীর ৮০০ থেকে এক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।’