আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে জেলার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে ভাঙন চলমান রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ও টানা বৃষ্টির পানিতে বন্যার দূর্ভোগ শেষ হতে না হতেই বন্যার পানি কমতে থাকায় গত এক মাসে নদী ভাঙনের কারণে হলদিয়া ইউনিয়নে উত্তর দীঘলকান্দি ও সাঘাটা ইউনিয়নের সাতালিয়া আশ্রায়ণ কেন্দ্র ২টিসহ ৯৫০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। গৃহহারা পরিবারগুলো জমি না থাকায় এবং বাড়ি-ঘর হারিয়ে অর্থাভাবে চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছে। মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবার পরিজন নিয়ে ।
বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর থেকেই যমুনা নদীর প্রবল ¯্রােতে গত এক মাস ধরে সাঘাটার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন চলছে। ইতিমধ্যে পাতিলাবাড়ি, গাড়ামারা, সিপি গাড়ামারা, কানাইপাড়া, নলছিয়া, কালুরপাড়া, কুমারপাড়া, দীঘলকান্দি, হাটবাড়ি, মুন্সির হাট, গোবিন্দি, উত্তর সাথালিয়া, দক্ষিণ সাথালিয়া, চিনিরপটলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এরফলে হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দি ও সাঘাটা ইউনিয়নের উত্তর সাথালিয়া গ্রামের ২টি আশ্রায়ণ কেন্দ্রসহ প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এরমধ্যে ওইসব গ্রামে গত এক সপ্তাহে নদী ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি নিশ্ধিসঢ়;হ্ন হয়ে গেছে।
হলদিয়া নলছিয়া গ্রামের সোলায়মান আলী জানান, ভাঙনের কারণে আমার বাড়িটি ইতিমধ্যে ৪ বার সরানো হয়েছে। আবারও নদী ভাঙনের শিকার হলাম। বর্তমানে একেবারে নিঃস্ব। ঘরবাড়ি হারিয়ে চরম দুদর্শার মধ্যে দিন কাটালেও কেউ আমাদের কিছু করছে না। সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, এবার যমুনা নদীর ভাঙ্গনে উত্তর সাথালিয়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪ শত পরিবারের ঘর-বাড়ি বসত ভিটা বিলিন নদীগর্ভে হয়ে গেছে। হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রধান জানান, বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে এই ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। এখনও সেই ভাঙন অব্যাহত ভাবে চলছে। অব্যাহত ভাঙ্গনে উত্তর দীঘলকান্দিসহ তার ইউনিয়নের ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি বসত ভিটা বিলিন হয়েছে। অপরদিকে ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামে নদী ভাঙ্গনে প্রায় ৫০টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। এই সব গৃহহারা লোকজন বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে চরম দুঃখ দুদর্শার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।