আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা : টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সবগুলো নদীর পানি এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি গত ২৪ ঘন্টায় সোমবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৬১ সে.মি., ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৭ সে.মি. এবং তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদীর পানি নতুন করে আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী নিচু অঞ্চল এবং বিভিন্ন চর এলাকায় নতুন করে পানি উঠতে শুরু করেছে। ফলে ওইসব এলাকার মানুষ আবারও বন্যা আতংকে নানা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় পলাশবাড়ী গোবিন্দগঞ্জ অংশে করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধসহ গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট হুমকির মুখে পড়েছে। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ভাঙনের হুমকির কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কয়েকটি পয়েন্টে জরুরী প্রতিরক্ষামূলক কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, ঘাঘট, করতোয়া সহ পাঁচটি নদীর ২৬৫টি চরে বসবাসকারী মানুষ এবং নদীতীরবর্তী এলাকার প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উচু রাস্তার ধারে ঝুপড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছে অনেক বানভাসী মানুষ। টানা বৃষ্টিতে সেখানে তাঁরা পরিবার পরিজন ও গবাদী পশু নিয়ে একসাথে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব বন্যা কবলিত এলাকায় রয়েছে ব্যাপক খাদ্য, বিশুদ্ধপানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট।