গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার এরপর জেলা পুলিশ সুপার মো: সাইদুর রহমান খান শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় নেপথ্যে বাজছিল অমর একুশের কালজয়ী গান, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।
এরপর সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।
জেলা প্রশাসন, স্থানীয় এমপি’র প্রতিনিধি, জেলা পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা জাতীয় পার্টি, জেলা জাসদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠন ছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, স্কুল-কলেজ, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সমূহ ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ মিনারের বেদি। এ সময় সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে প্রবেশ করে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় শহীদ মিনারে ফুল দিতে মানুষের ¯্রােত বাড়তে থাকে। নারী-পুরুষ, আবাল, বৃদ্ধ ও শিশুরাও বাবা-মায়ের কোলে চড়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসে শহীদ মিনারে। মনোরম আলপনা আঁকা মিনার প্রাঙ্গণে খালি পায়ে ভিড় করেন তারা। রাত ১২টায় শহীদ মিনারে মানুষের যে ঢল নামে তা অব্যাহত থাকে সকাল পর্যন্ত।
এ ছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্য ছিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মিনার থেকে প্রভাত ফেরি গোপালগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সকল সরকারী-বেসরকারী-অফিস-আদালত, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ী, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা স্থানীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।