গোলাপগঞ্জের চার ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-১৪ - ১৮:৫১

শাহান , গোলাপগঞ্জ (সিলেট)প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জের একই পরিবারের চার ভাইকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ঢাকায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর সংবাদ পাওয়া গেছে। একটি মহল পূর্ব শত্র“তার জের হিসেবে চার ভাইকে সিলেটের বাহিরে একটি মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করায় সর্বমহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অতীতেও এভাবে গোলাপগঞ্জের অনেক নিরীহ ব্যক্তিকে সিলেটের বাহিরে নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হয়েছিল।

প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র সাজু মিয়া (২০) সহ তার আরও তিন ভাইকে আসামী করে ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর এজাহারটি (সি.আর মামলা নং ৬৪১/২০১৭ইং) সংশ্লিষ্ট থানাকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। মামলার এজহারে বাদী রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার চোরখোর হাসানপাড়া গ্রামের মৃত. নূর মোহাম্মদের পুত্র গোলাম মাওলা মন্টু (৪৯), বর্তমান যাত্রাবাড়ী থানাধীন মীর হাজারী ভাগের বসবাসকারী উল্লেখ করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুনামপুর গ্রামের মজির উদ্দিনের পুত্র ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম (২৫), কলেজ ছাত্র সাজু মিয়া (২০), প্রবাসী ইসমাইল হোসেন (২৩), বাক প্রতিবন্ধি মনজুরুল আহমদ (৩০) লন্ডনে লোক পাঠানোর নামে বাগেরহাট জেলার সরনখোলা উপজেলার খাদা গ্রামের মৃত. আব্দুল জব্বার আকনের পুত্র আবু তাহের আকনের সঙ্গে ৪২ লক্ষ টাকা চুক্তি করে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে একটি চুক্তি হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়। মাননীয় আদালত বিষয়টি তদন্ত করার জন্য যাত্রাবাড়ী থানায় প্রেরণ করলে বিষয়টি জেনে যাত্রাবাড়ী থানায় আসামী পক্ষ যোগাযোগ করলে একপর্যায়ে তদন্ত কারী কর্মকর্তা মামলার বাদীপক্ষকে খুঁজতে থাকেন। আসামী পক্ষ ও বাদী পক্ষকে তদন্তকারী কর্মকর্তা একে অন্যকে সামনে রেখে শনাক্ত করতে চাইলে বারবার তারিখ করেও বাদী পক্ষ উপস্থিত হননি বলে এজহারে বর্ণিত বিবাদী পক্ষের ১নং ব্যাক্তি কামরুল ইসলাম জানান। এ ব্যাপারে তিনি প্রতিবেদককে জানান, যিনি মামলার বাদী হয়েছেন তিনি আমোক্তার নামার বলে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আমরা অনেক চেষ্টা করেও বাদীর সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি ঘটনা সৃষ্টি করে আমাদেরকে হয়রানীর লক্ষে ঢাকায় মামলার আসামী করা হয়েছে। এতে যে চুক্তিনামা ব্যবহার করা হয়েছে তাতে যে সই স্বাক্ষর রয়েছে তা সম্পূর্ণ জাল বলে তিনি দাবি করেন। বিদেশে লোক পাঠানোর নামে এমন কোনো চুক্তিনামা হয়নি বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে যে তদন্ত চলছে তা মিথ্যা প্রমানিত হবে বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান। গোলাপগঞ্জের নিরীহ লোকজনকে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে ঢাকায় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করায় বিভিন্ন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।