মানস চৌধুরী, চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রামে একে একে সব পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ ও প্লট তৈরী করে বিক্রি করছে একশ্রেণীর ভুমিদস্যূ। প্রসাশনকে মেনেজ করেই চলছে এসব পাহাড় কাটার উৎসব। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে কিছুদিন পাহাড় কাটা বন্ধ থাকলেও পূণরায় সকলস্তরের প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলে পাহাড় কাটা।
সম্প্রতি নগরীর জামালখান এলাকায় একটি পাহাড় কেটে বহুতল ভবণ তৈরী করার নিউজ গণমাধ্যমে প্রচার হলে পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের জরিমানা করলেও পূণরায় পাহাড়টি কাটার জন্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে পাহাড়টি পূণরায় কাটার উদ্ভ্যোগ গ্রহন করেছে ভবণ নির্মাণের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা।
অপর দিকে করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়েও গোপনে নানা কৌশলে নগরীর বায়েজিদে আরফিন নগর এলাকায় পাহাড় কেটে মাঠ বানিয়ে প্লট আকারে বিক্রির অভিযোগ উঠলেও না দেখার ভান করছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বায়েজিদ থানাধীন জালালাবাদের আরেফিন নগর ও সীতাকুন্ডর জঙ্গল সলিমপুরের মাঝামাঝি তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার পিছনে বর্তমানে এসব পাহাড় কাটার ঘটনা হচ্ছে। এসব পাহাড় ধ্বংসের কারণে বৃষ্টিকারণে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলে পাহাড়ের পাদদেশে ছোট ছোট ঘরে বসবাস করা নিম্ম আয়ের মানুষের প্রাণ হানির আশংকা রয়েছে বলে এলাকাবাসি জানান।
এলাকা বাসির অভিযোগ রয়েছে পরিবেশ অধিদফতরের ও মোহাম্মদ আবু তৈয়ব নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে সরকারী পাহাড় দখল করে গোপনে মধ্যরাতে ও ভোরবেলায় দীর্ঘদিন ধরে কেটে আসছেন এসব পাহাড়।
যার প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ,স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়, চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর, বন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় এলাকা বাসির পক্ষ থেকে মোহাম্মদ মোরশেদ নামে এক তরুন।
অদ্য পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নুরী অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয়ের শুনানী শেষে পাহাড় কাটায় যুক্ত থাকার অপরাধে হাফেজ তৈযুবকে ৩২লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত টিম পাটিয়েছি পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে আগামী অদ্য শুনানী শেষে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি পরিবেশ ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বারে বারে এমন একই অপরাধ করে আসছে আবু তৈয়ব নামে এক ব্যক্তি পাহাড় খাদক। যাদের এখনই পরিবেশ আইনের আওতায় আনে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা না গেলে এমন দৃষ্টতা বন্ধ করা যাবেনা।
গত বছরের ১৩ জুলাই সকালে আরেফিন নগরীতে মাঝির ঘোনা পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে ছিল ঐ ঘটনায় ৩জন মৃত্যু বরন করেছিল। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় ছোট ছোট ঘরে বসবাস কারি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বর্ষা মৌসুমে আসলেই আতঙ্ক বিরাজ করে।
পাহার কাটাড় কাটার অভিযোগকারী দৈনিক আজকালের খবরকে জানান হাফেজ আবু তৈযুব ঐ এলাকায় পাহাড় কেটে ১শ ৫০টিরও বেশী প্লট করেছে। তার বিরুদ্ধে কৈউ সহজে মুখ ভয়পায়। তিনি ভয়ংকর লোক। কোনো ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে গেলে একাধিক মামলায় ফাসিঁয়ে জেলে দে।
তিনি আরো বলেন আজকে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নুরী অভিযুক্ত হাফেজ তৈযুবকে ৩২লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করায় কারণে আমাকেও হাফেজ তৈযুবকে হুমকি দিচ্ছে। আমি আতঙ্কে আছি।
এ বিষয়ে পাহাড় কাটার সাথে যুক্ত হাফেজ তৈযুব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে তার বাসায় দাওয়া দেন সাক্ষাতে কথা বলার জন্য।