নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের একটি বিশেষ টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ ২ জন রোহিঙ্গাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছেন। আটককৃতরা হচ্ছে রোহিঙ্গা আবদুল করিম (২১) , রোহিঙ্গা মো: রফিক (২০) এবং আব্দুল নোমান ( ২০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে অভিযানে মেট্রো: উপঅঞ্চল কর্র্তৃক অভিযানে ২ কেজি গাজাসহ ১১ জনকে আটক করেন। পরে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড করা হয়। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিভাগীয় গোয়েন্দা ও চট্টগ্রাম মেট্রো: উপ-অঞ্চলের পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন।
চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের একটি বিশেষ টিম রোববার চট্টগ্রাম শহরে পৃথক ২ টি অভিযান চালিয়ে ১৫০০ পিস ইয়াবা সহ ২ জন রোহিঙ্গা সহ ৩ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেন। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের কাজীর দেউরী এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মৃত আব্দুল গফ্ফারের পুত্র আবদুল করিম (২১), নুরুল ইসলামের পুত্র মো: রফিককে আটক করেন। আটককৃতরা টেকনাফের ল্যাদা রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প, ব্লক- এফ, সেড নং-১৫৮ এবং ১৬৩ নং সেডে বসবাস করে। আসামীগণ বাংলাদেশে সরকারীভাবে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরনার্থী নাগরিক বলে জানা যায়। তারা কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহ করে আসছিল। একই টিম নগরীর সিনেমা প্যালেস এর সামনে অভিযান চালিয়ে ৬০০ পিস ইয়াবাসহ আব্দুল নোমান নামে এক ইয়াবা মাদক ব্যবসায়ী আটক করেন। অপরদিকে চট্টগ্রাম মেট্রো: উপ-অঞ্চলের একটি টিম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার এর নেতৃত্বে এবং সংস্থার মেট্রো: উপ-অঞ্চলের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মেট্রো উপঅঞ্চলের সার্কেলসমূহের একটি যৌথ টিম মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ২ কেজি গাজাসহ মোট ১১ জনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১১জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়।