চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি)’র পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭ হাজার ৪০ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক পাচারকারীকে আটক করেছেন। আটককৃতরা হচ্ছে সীমা বেগম (৩৩), মোঃ আব্দুল করিম (৪২), মোঃ শামীম শেখ(২৭) এবং মোঃ আবু সরোয়ার(২১)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা বর্তমানে বাজার দাম ২১ লাখ টাকা। এছাড়া ভ্রম্যমান আদালতে অভিযান চালিয়ে ২২ মাদক সেবীকে আটক করেছেন। আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। বুধবার (২ জুন) চট্টগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বিজ্ঞ নির্বাহী মাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন।
চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি)’র সূত্র মতে, ২ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের উপ পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর সার্বিক তত্বাবধানে ও কোতোয়ালি সার্কেল পরিদর্শক ও পাঁচলাইশ সার্কেল পরিদর্শক এ নেতৃত্বে কোতোয়ালি সার্কেল পরিদর্শক মোঃ মোজাম্মেল হক চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন স্টেশন রোডস্থ নতুন রেলওয়ে স্টেশন এর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিপন সিকদারের স্ত্রী সীমাকে ৫৯০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে বন্দর সার্কেল উপপরিদর্শক মোঃ ফাহিম রাজু বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। অপর অভিযানে কোতোয়ালি সার্কেল পরিদর্শক মোঃ মোজাম্মেল হক এর নেতৃত্বে সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানাধীন পুরাতন ফিসারী ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আলী আহমেদ এর পুত্র মোঃ আব্দুল করিমকে ৩ হাজার পিস ইয়াবা এবং তার সঙ্গী মো: রঞ্জন শেখের পুত্র মোঃ শামীম শেখকে ১ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে কোতোয়ালি সার্কেলের উপ পরিদর্শক মোঃ ফাহিম রাজু বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। অপর অভিযানে পাচলাইশ সার্কেল পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়কস্থ পাবলিক টয়লেট এর পাশে অভিযান পরিচালনা করে মো: শামসুল আলম এর পুত্র মোঃ আবু সরোয়ারকে ১ হাজার ৯৫০পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মেট্রো কার্যালয়ের সকল সার্কেল ও বিজ্ঞ নির্বাহী মাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন এর নেতৃত্বে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় টাস্ক ফোর্সের অভিযান পরিচালনা করে ২২ জন মাদক সেবী কে গ্রেফতার করেন। বিজ্ঞ নির্বাহী মাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন গ্রেফতার কৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থ দন্ড প্রদান করেন।