চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে মাদক সেবন, সুতো বেঁধে ছিনতাই ও পথচারীদের উত্যক্ত করার অভিযোগে ২ নারী ও ৩ শিশুসহ আরও ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ আগস্ট) অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
আটক ৯ জন হলো- খুলশী থানার আমবাগান এলাকার মো. শামসুলের মেয়ে কাজল (১৮), আমবাগান এলাকার মো. বেলালের মেয়ে শাহিদা (১৮), বাকলিয়া থানার দেওয়ান বাজার আফজাল মসজিদ এলাকার মো. আবুল কাশেমের ছেলে আবদুল কাইয়ূম ( ১৭), বৌবাজার জিলানী বিল্ডিং এলাকার মো. বাচায়েত উল্লার ছেলে মো. মহিউদ্দিন (৪০), ভরাপুকুর এলাকার মনু মিয়ার ছেলে মো. রাসেল (১৬), মো. রমিজ উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৪), মো. ইমন (১১), মো. জুনায়েদ (৯) ও মো. শুক্কুর (১০)।
এদের মধ্যে আবদুল কাইয়ূম, মো. রাসেল, তাজুল ইসলামকে মুচলেকা নিয়ে অভিবাবকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মো. ইমন, মো. জুনায়েদ, মো. শুক্কুরসহ ৩ শিশুকে আদালতের মাধ্যমে শিশু সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এরা আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার কেন্দ্রীক জিইসি মোড় থেকে বহাদ্দারহাট এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও আসমাজিক কাজসহ নানা ধরনের অপরাধ করে থাকে। নানা ধরণের মাদক সেবন করে ফ্লাইওভারের নীচে অবস্থান নিয়ে দুপুরে কিংবা রাতে লোকজনের আনাগোনা কমে গেলে সুযোগ বুঝে রিকশা ও বিভিন্ন গাড়ি থেকে ব্যাগ, মোবাইল সেট টান মেরে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এছাড়া সন্ধ্যার পর এসব এলাকায় মাদক সেবনসহ অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে। এসব মাদকাসক্তরা চলাচলরত মানুষের গায়ে পড়ে অশালীন আচরণসহ নানা ধরনের উত্যক্ত করে থাকে। গত কয়েকমাস ধরে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের উপর সুতো বেঁধে অভিনব কায়দায় ছিনতাই ও মাদক সেবন বেড়ে যাওয়ায় লোকজন এই পথে চলতে ভয় ও বিব্রত বোধ করেন। ফ্লাইওভার কেন্দ্রিক ছিনতাই ও সাধারণ মানুষের হয়রানির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর অপরাধীদের ধরতে মাঠে নামে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। রোববার (২ আগস্ট) প্রথমদিনের অভিযানে ২১ জনকে আটকের পর পরদিন সোমবার আরও ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাশেম ভুঁইয়া বলেন, আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান করে মাদক সেবন, পথচারীদের উত্যক্ত ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে তিন শিশুসহ মোট নয়জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে আটক তিন শিশুকে সংশোধনাগারে পাঠানো ও তিন কিশোরকে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।