চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর ফ্লাইওভারগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার পরও থামানো যাচ্ছে না সুতা টেনে ছিনতাই। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ফ্লাইওভারে সাদা পোশাকধারী পুলিশের দুটি দল নজরদারি করছে এবং মোটরসাইকেলযোগে তিনটি দলও কাজ করছে নজরদারিতে।
তবে, নগরীতে চারটি ফ্লাইওভারের মধ্যে মুরাদপুর থেকে ইস্পাহানির মোড়ের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার এবং স্টেশন রোড থেকে কদমতলী ফ্লাইওভারে এই ছিনতাইকারী চক্রের তৎপরতা বেশি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগী ইনটিশর সায়রশ জানান, ১কি.মি থেকে গরু কিনে পিকাপ ভ্যানে করে বাসা(দেওয়ানহাট) দিকে আসছিলাম , গরু নিয়ে পিকাপের ওপরেই দাঁড়ানো ছিলাম।আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারের কিছু দূর যেতেই হঠাৎ গলাই খুব জোরে সুতারটান লাগে। ভাগ্য ভালো আমাদের গলাই লেগেই সুতা ছিড়ে যাওয়ায় আমার আব্বু আর চাচা বেঁচে যায়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে কর্ণেল মশিউর রহমান জুয়েল জানান, মানুষের জীবনের কথা চিন্তা না করে, নেশার টাকা জোগাড় করতেই তারা এই অভিনব ছিনতাই করে ।
জানা গেছে, ফ্লাইওভারের মাঝে ধারালো সুতার মাধ্যমে প্রথমে চলন্ত মোটরসাইকেল আরোহীদের রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর সাহায্যের নামে কাছে এসে আহত আরোহীর মালামাল লুটে নেয়। বিপজ্জনক এসব অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের কয়েকটি কিশোর গ্যাং। পরপর দুই দিন পাঁচলাইশ পুলিশ ও র্যাবের আলাদা অভিযানে এ চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করেও থামানো যাচ্ছে না এই চক্রের কার্যক্রম।
নগরের গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার আলী হোসেন বলেন, ফ্লাইওভারে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের ২টি টিম কাজ করছে। আমাদের টিম ৩টি মোটরসাইকেলে কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর টহল দিচ্ছে।
তারপরও কেউ যদি এমন দুর্ঘটনার শিকার হয় আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমারা ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেন তিনি।