দাকোপ, খুলনা : খুলনার দাকোপ উপজেলা সদর চালনাবাজারসহ উপলোর গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার এলাকার পায়ে হেটে চলার ফুটপাথ,যানবাহন চলাচলের রাস্তা সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখলের প্রতিযোগিতায় চলাচলের প্রধান প্রধান রাস্তাঘাট দিনে দিনে আবারও সরু হয়ে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে আসছে।দীর্ঘকাল যাবৎ প্রভাবশালীমহল বড় বড় ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা চালনাবাজারের মানুষ চলাচল ও যান চলাচলের রাস্তা রিতীমত দখল করে দোকানের সম্মুখভাগ বৃদ্ধি করে রাস্তার উপর দোকানের মালামাল সাজিয়ে রেখে দখল করে রেখেছে প্রসস্তরাস্তা ফলে জনসাধারনের চলাচল এমনকি যানবাহন চলাচলে মারাত্তক বিঘেœর সৃষ্টি হচ্ছে। এমনভাবে যে যার দোকানের সামনের রাস্তা দখল করে চললেও দেখার কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না।চালনাবাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী সুকুমর গোলদার ও মুদি দোকানদার স্বপন জানান তাদের পার্শ্বের দোকান এমনভাবে বাড়িয়েছে যে তাদের দোকান খরিদ্দারের চোখে না পড়ায় সারাদিনে মাছি পড়ে না,এছাড়া চলনাবাজারের দোকানের সামনের চলাচলের রাস্তা অনেকটা পাকা করে দখল কওে রাখায় চলাচলের মারাত্তক সমস্যার সৃষ্টি করে রেখেছে মোয়াজ্জেম হাওলাদারে দোকান ,বিধানের ষ্টুডিও, চালনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হোটেল নড়াইল,ফলের দোকান,খোকর রায়,সহ শতাধীক দোকানপাট। এ ছাড়াবাজুয়াবাজার, কালিনগরবাজার, নলিয়ানবাজার, কামনিবিাসিয়াবাজার, বানিশান্তাবাজার, দাকোপসাহেরাবাদবাজার, খুটাখালিবাজার ও পোদ্দারগনজ বাজারের অধিকাংশ পাঁকা,আধাপাঁকা দোকানপাট সরকারী জায়গা বিশেষ করে পানিউন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে এবং দিনে দিনে ইচ্ছামত সম্প্রসারন করে পাঁকাদোকানের পাশাপাশি বাড়িঘর নির্মান করে রিতীমত বসবাস করে চলেছে।এমনিভাবে ফ্রিষ্টাইলে দখল চলাকালে বিগত ১/১১ এর সময় তত্বাবধায়ক সরকার এদের বিরুদ্ধে এশটি ভাল উদ্ব্যোগ গ্রহন করেন। তৎকালিন সরকার অবৈধভাবে পানি উন্নযন বোর্ডের অর্থাৎ সরকারি জায়গা দখল করে নির্মান করা পাঁকা ঘরবাড়ির অধিকাংশই বিশেষ অভিযানে ভেংগে গুড়িয়ে দেয়।এ ধরনের উদ্যেগকে সাধারন মানুষ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন কিন্তু মাএ ১০ বছর যেতে না যেতে পূর্বের সেই একই চিএ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।উপজেলা সদরের দোকানপাট ভেংগে চুরে তখন বেশ চওড়া করেছিল ৪/৫ বছর মানুষজন,গাড়িঘোড়া সহজে আরামে চলাচল করতে পারতো কিন্তু আবার প্রতিটি দোকানের সম্মুখে ৪/৫ হাত রাস্তাদখল করে দোকানপাট বৃদ্ধি করায় রাস্তা আবারও দিনে দিনে সরু হয়ে যাচ্ছে যা উপজেলা সদর বা পৌরসভার রাস্তা হওয়া উচিৎ নয়। একইভাবে উপজেলার সকল হাটবাজার এলাকায় দখলের প্রতিযোগিতা চলছে কয়েক বছর যাবৎ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় পাকা ভবন নিসিদ্ধ থাকলেও দেদারছে চলছে বহুতল পাঁকা ভবন নির্মানের কাজ।নেই কোন বাঁধা।দেখার কেউ নেই।বর্তমান নয় এর পূর্বের দায়িত্বে থাকা দাকোপের কয়েকজন ইউএনও দায়িত্বে থাকা কালিন তার কতিপয় কর্মচারিদের মাধ্যমে চুক্তির মাধমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় চালনাবাজার সহ উপজেলার সর্বএই দেদারছে যে দখল ও পাঁকা ভবনকরনের হিড়িকি পড়েছিল তা এখনও বন্ধ হয়নি বলে এলাকার শত শত মানুষের অভিযোগ ।এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা বিষয়গুলি দেখেও না দেখার ভান করে বলে দীর্ঘকালের অভিযোগ।এমন অবস্থা চলায় কথায় কথায় চলে আসে তৎকালিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যুগপোযোগী অভিযানের কথা ।এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা পরিষদের দুই দুই বার নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড় বলেন প্রশাসনের কিছু কিছু কর্মকর্তা কর্মচারি এমনভাবে দূর্নিতীতে ডুবে থাকে যে যাদের কারনে ইচ্ছা থাকলেও আমরা বন্ধ করতে পারিছি না।আর
চালনাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গৌতম সাহার সাথে আলাপ করলে জানান আমরা চেষ্টা করি কিন্তু রাজনৈতিক ও প্রশাসনের কারনে অধিকাংশক্ষেএে পারিনা ।বিষয়টি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়,বিভাগিয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকাবাসি।