যশোর: বিএনপির একমাত্র নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশ তাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আকরাম হোসেনের আদালতে হাজির করে। আদালতে মুন্নির আইনজীবীরা তার জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু বিচারক এই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ বিকেলেই মুন্নিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে যশোর বিমানবন্দর থেকে মুন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঢাকায় যাওয়ার জন্য সেসময় যশোর বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন তিনি।
যে মামলায় মুন্নিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়, সেটির বাদী কোতয়ালী থানার এসআই দেবাশীষ দাস। ‘নাশকতামূলক কর্মকান্ডর’ অভিযোগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রুজু করা হয়। আসামিরা সবাই বিরোধী দলের নেতাকর্মী। এই মামলায় ‘অর্থ যোগানদাতা’ হিসেবে ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি কেন্দ্রীীয় কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নির নাম রয়েছে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক ‘মিথ্যা’ মামলা রুজু করছে। তাদের ভাষ্য, গায়েবি এসব মামলা দিয়ে পুলিশ সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না।
উল্লেখ্য সোমবার সকালে এক নেতা মৃত্যুর সংবাদ শুনে চেয়ারম্যান মুন্নি ঝিকরগাছা উপজেলা বোধখানা গ্রামে যান। সেখান থেকে ফিরে ১১টায় উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উপজেলা মাসিক মিটিংনে অংশ নেন। মিটিং শেষে পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন। জরুরি প্রয়োজনে চেয়ারম্যান মুন্নি সন্ধা সাড়ে ছয়টার বিমানে ঢাকায় যাওয়ার জন্য যশোরের উদ্দেশ্যে রওয়ান হন। নিদিষ্ট সময়ের কিছু আগে তিনি যশোরের বিমান পৌঁছান। ৬টা ২০ মিনিনের সময় কোতায়ালি থানা পুলিশ তাকে আটক করে।