টাকার বিনিময়ে আসামী ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৭-০৭-১১ - ০১:৩৬

বিশেষ প্রতিনিধি, যশোর প্রতিনিধিঃ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা যশোরের শংকরপুরের বহুলালোচিত আব্দুল আলিম গাজীর জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যশোর কোতোয়ালী থানা পুলিশের দু’জন অফিসার ও সংগীয় ডজনখানেক ফোর্স জুয়ার ডেরা ঘিরে কোটে থাকা নগদ দু’লাখ টাকাসহ তাদের আটক করেন। ওই দুলাখ টাকা আত্মসাতসহ আরও দু’লাখ টাকা হাতিয়ে একদিন পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিতর্কিত আলিম ও তার সহযোগিদের ছেড়ে দেয়ায় এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা পরিচয়দানকারী শংকরপুরের আলিম ও তার সহযোগিদের পরিচালনা করা জুয়ার ডেরায় ৯ জুলাই রাত ১১টায় অভিযান চালায় যশোর কোতোয়ালী থানার একটি সিভিল টিম। ওই জুয়ার কোট থেকে দু’লাখ টাকা এক বস্তা সাবান ও আরও জুয়া সামগ্রিসহ আটক করা হয় মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে আব্দুল আলিম গাজী গংকে। আটক অন্যরা হচ্ছে আব্দু আলিম গাজীর স্ত্রী শাহিদা বেগম লাকি, ছেলে শাওন, এলাকার সহযোগি সাকিল, সালাম, বাবু, আনিসসহ সাত জন। ওই রাতেই আটক করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ওই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাজত খানায়। আব্দুল আলিম ও তার সহযোগি এবং ওই পরিবারের লোকজন ছাড়াতে ওই রাতেই শুরু করে দেন দরবার। জুয়ার কোট থেকে আনা দু’লাখ টাকা বাদেও আরও তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। এ সময় বেসামাল হয়ে পড়ে শংকরপুরের ওই জুয়া সিন্ডিকেটের আজ্ঞাবহরা। তারা একজন জনপ্রতিনিধির কাছেও ধর্ণা দেয়া শুরু করে। ওই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সাথে ওই জনপ্রতিনিধির বর্তমান দা কুমড়ো সম্পর্ক হওয়ায় তিনি পিছিয়ে যান। শেষমেশ চক্রের লোকজন নিজেরাই দেনদরবার এগিয়ে যায়। আর ১০ জুলাই দুপুরে আরও দু,লাখ টাকা দেয়া হয় ওই দু অফিসারকে। আর বিকেল তিনটায় দিকে ছেড়ে দেয়া হয় জুয়া আসরের লোজনসহ আটক ওই আট জনকে। ৯ জুলাই রাতে জুয়ার আসর থেকে আটক হল আবার ১০ জুলাই বিকেলে তাদের ঘুরে বেড়াতে দেখে হতবাক হয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা বলছেন এমনটি হয় কিভাবে। এর আগে আলিমকে ওই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন অফিসার আটক করে বাড়ি থেকেই ছেড়ে দিয়ে যায়। এবার সে দলবলসহ আটক হলে স্থানীয়রা ভেবেছিলেন এবার এলাকার পরিবেশ কিছুটা হলেও ভাল থাকবে। এই আলিম স্থানীয় একটি শান্তি শৃংখলা কমিটির বিচারক মন্ডলীর লোক বলেও চাউর করে থাকে। আর সেই ব্যক্তিই যত অপকর্মের হোতা বলেও স্থানীয়দের আভিযোগ। তারা এব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে অভিযানিক অফিসারের বক্তব্য নেয়া হলে তিনি জানান, আলিমসহ আট জনকে আটক করা হয়েছিল সত্য। আটকের পর করে মামলার প্রস্তুতি ছিল। এলাকার লোকজন ও এক সাংবাদিক নেতা উপরের এক অফিসারের কাছে আটক ওই আট জনের জিম্মায় মুক্তি ব্যাপারে সুপারিশ করেন। তারা ভবিষ্যতে আর এধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত হবেনা এমন মুচলেকা দিতে রাজি হয়। এক পর্যায়ে এলাকার দায়িত্বশীলদের সুপারিশে ও উপরের ওই অফিসারের নির্দেশনায় মুচলেকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে ওই ৮ জনকে।