ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ রেলস্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। এই ঘটনার তদন্তে তিনটি কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ। বরখাস্ত করা হয়েছে তূর্ণা নিশীথার চালক ও সহকারি চালককে।
সোমবার রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা আর সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মন্দবাগ স্টেশনে ঢুকতে থাকা উদয়ন এক্সপ্রেসের পেছনের দিকে ধাক্কা দেয় তূর্ণা নিশীথা। এতে উদয়নের কয়েকটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। বিধ্বস্ত হয় তূর্ণার ইঞ্জিনও। ঘটনাস্থলেই নিহত হন বেশ কয়েকজন। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু, ছয় নারী ও সাত পুরুষ যাত্রী রয়েছে। আহত ২০ জনের অবস্থা গুরুতর। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারা সবাই উদয়নের যাত্রী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, আহতদের উদ্ধার করে কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।
ঘটনার পর উদ্ধারকাজে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বগিগুলো সরিয়ে নেয় দুটি রিলিফ ট্রেন। সকাল পৌনে এগারোটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এ ঘটনায় তুর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের চালক ও সহকারী চালককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে রেল মন্ত্রণালয় থেকে ১ লাখ টাকা দেয়া হবে। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।