ঢাকা অফিস : ডাকসু ও হল সংসদ পুনঃনির্বাচনের দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। আজ বুধবার, নির্বাচন বর্জনকারী বাম ও স্বতন্ত্র পাঁচটি জোটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৪শ’ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর শ্রম ও মেধা খরচ হয়েছে। তাদের শ্রমকে অসম্মান করার এখতিয়ার আমার নেই।’
এই বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ কেউ নষ্ট করতে চাইলে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেবে না বলেও জানান ভিসি।
এর আগে, তিনদিনের মধ্যে ডাকসু ও হল সংসদ পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাম ও স্বতন্ত্র পাঁচটি জোট। আর তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য তিনদিনের আল্টিমেটামও দেয়া হয়।
দুপুরে, বাম জোটের নেতা লিটন নন্দীর নেতৃত্বে রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নির্বাচন বর্জনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকায় মিছিলটি প্রদক্ষিণ করে ভিসি কার্যালয় গিয়ে বৈঠকে বসেন তারা।
এ বিষয়ে ডাকসুর নব নির্বাচিত এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ‘ভোট বর্জন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আঘাত। প্রহসনের আন্দোলনে নেমেছে ভোট বর্জনকারীরা।’
এদিকে, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু ও হল সংসদের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে অনশন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থী। তাদের চারজন বিভিন্ন হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে তারা অনশন শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর ১১ই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ৯ টিতেই পুর্ণ প্যানেলে জয় পায় ছাত্রলীগ, আর ৩টি হলে জয় পায় স্বতন্ত্র জোট। মেয়েদের তিনটি হলে ভিপি, জিএসসহ বেশীরভাগ পদে জয় পায় স্বতন্ত্র জোট। অন্য ছয়টি হলে ছাত্রলীগ ও স্বতন্ত্র জোট পদ ভাগাভাগি করে। স্বতন্ত্র জোট ভিপি পদে ছয়টি হলে এবং জিএস পদে তিনটি হলে জয়ী হয়।
তবে, এই ফলাফল মেনে না নিয়ে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলতেই থাকে। নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে অনশন পর্যন্ত গেছে বিরোধী প্রার্থীরা।