ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও টাকা ছিনতাই ঘটনায় প্রাইভেট কারসহ এক ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা আটক হয়েছে।
ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, উপজেলার টিপনা গ্রামের মৃত নোয়াবালী গাজীর ছেলে সেকেন্দার গাজী (৩২) অপহরণের শিকার হয়েছিল। ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে একটি প্রতারক চক্র তাকে অপহরণ করে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সেকেন্দার বালিয়াখালি বাজারস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত এএসপি ও এসআই পরিচয়ে ৪ জন একটি প্রাইভেট কার (যার নং-ঢাকা মেট্রো গ ১৪২১০২) থেকে নেমে তার দোকানে গিয়ে বিকাশে ক্যাশ আউট করার কথা বলে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার কথা বলে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে মুহুর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়েই আমরা তৎপর হয়ে গাড়ির পিছু ধাওয়া করি। পরে ডুমুরিয়া এরিয়া পেরিয়ে আড়ংঘাটা থানা এলাকায় পৌছালে ওই থানার পুলিশ প্রাইভেটসহ একজনকে আটক করে।
আড়ংঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, শনিবার দিবাগত রাতে রায়ের মহল এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কারসহ এক ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল মোল্যা ওরফে জাকিরকে (৩৪) আটক করা হয়েছে। সে নড়াইল জেলার লোহাগড়া এলাকার আছাদ মোল্যার ছেলে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, আটক জাকির ও তার সহযোগীরা ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন জেলা শহরে গিয়ে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছিল। শনিবার রাতেও একটি অপরাধ সেরে পালানোর চেষ্টা করছিল। এ ম্যাসেজ পেয়েই মুহুর্তের মধ্যে তৎপর হয়ে টহল পুলিশ জোরদার করে রায়ের মহল এলাকায় ওৎ পেতে থাকতে বলা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রাইভেট কারটি এলে তার মধ্যে অভিযান চালিয়ে সোহেল মোল্যা ওরফে জাকিরকে আটক করা হয়। তার গায়ে পুলিশের এসআই’র র্যাঙ্কসহ পোশাক পরা ছিল। এ সময় গাড়ীর ভিতর থেকে ভিকটীম সেকেন্দার আলীকে উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাকিরের অপর ৩ সহযোগী পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আড়ংঘাটা থানায় ভিকটীম সেকেন্দার গাজী বাদী হয়ে একটি অপহরণ ও প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন যার নং-০৩।
এ খবর পেয়ে খুলনা মেট্রো পলিটন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোল্ল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন আড়ংঘাটা থানা পরিদর্শন করেছেন।