সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভেঁড়িবাধ মেরামতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঘুণিঝড় আম্পানের আঘাতে উপজেলার সাহস ইউনিয়নের লতাবুনিয়া ও বাঁশতলা এই গ্রাম দুইটির রক্ষাবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়। পরবর্তীতে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হতে জরুরি ভাবে ওই বাঁধটি মেরামতের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জয়নাল আবেদীন সম্পূর্ণ টাকার কাজ না করে দুই লাখ বিশ হাজার টাকার কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আব্দুর রশিদ গাজী, দিনোবন্ধু মন্ডল ও নিখিল রায় জানান, আম্পানের রাতে বাঁধ ভেঙ্গে গেলে আমরা লতাবুনিয়া ও বাঁশতলা এই দুই গ্রামের মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ি। খোলা আকাশের নীচে, রাস্তার পাশে খুপড়ি বেঁধে, স্কুল ও ক্লাবঘরই হয় আমাদের ঠিকানা। পরে নদীর পানি কিছুটা শান্ত হলে গ্রামবাসী ও সেচ্চাসেবকদের সহায়তায় বাঁধটি মেরামত করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় বাঁধ মেরামত বাবদ তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। চেয়ারম্যান সাহেব ওই তিন লাখের মধ্যে দুই লাখ বিশ হাজার টাকা আমাদের হাতে দেন। বাকী ৮০ হাজার টাকার কথা জানতে চাইলে তিনি খরচ হয়ে গেছে বলে জানান।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম জানান, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামতের জন্য ১% হতে ২৩-০৮-২০ তারিখে তিন লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করা হয়েছিল। একই সাথে ১০ দিনের মধ্যে কাজের সমাপনি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে সময় পেরিয়ে গেলেও সমাপনি প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। অপরদিকে সমুদয় টাকার কাজ না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই চেয়ারম্যান সাহেবকে ৫দিনের মধ্যে প্রমানাদিসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।