ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় ঘের ব্যবসায়ী ছগির হাওলাদার সেলিম হত্যার ক্লু উদ্ধারে মাঠে নেমেছে পুলিশ। মামলা দায়েরের পরেই তদন্তকারি অফিসার দুই মহিলাসহ ৫জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন। অতি দ্রুতই বেরিয়ে আসতে পারে ক্লু, দিয়েছেন এমনি আভাস।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার রংপুর ইউনিয়নের ঘোনা মাদারডাঙ্গা বিলে একটি মৎস্য ঘের থেকে গত রোববার সকালে ছগির হাওলদার সেলিম (৩৫) নামের এক ঘের ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার হয়। সে দাকোপ উপজেলার হাবিব হাওলদারের ছেলে। নিহত সেলিম ৭/৮ বছর ধরে ওই এলাকায় দৌলতপুর এলাকার ঠিকাদার টুটুলের নিকট থেকে হারিতে জমি নিয়ে ঘের ব্যবসা করে আসছিল। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরোতহাল রির্পোট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের চাচা দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেন। এরপরেই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই নুর ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই এলাকার ঘের ব্যবসায়ী ব্রজেন মন্ডল (৩৫), সোহাগ (২৭) এবং নিহত সেলিমের সাথে সাখ্যতা থাকা একই পরিবারের তিন সদস্য প্রফুল্ল্য রায় (৫২) তার স্ত্রী মালতি (৪৫) মেয়ে দোলন রানীকে (২২) হেফাজতে নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারি অফিসার এস আই নুর ইসলাম জানান, নিহত ঘের ব্যবসায়ী ছগিরের সুরোত হাল রির্পোটে তার মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও ফোলা জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা নিশ্চিত তাকে আঘাত করে হত্যার পর পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এখন তার হত্যার ক্লু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে কিছু আলামত উদ্ধার হয়েছে। সেই আলামত ও কিছু তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা মুটামুটি একটি অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। তবে মামলার স্বার্থে এখনি সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। অতি দ্রুত হয়তঃ ক্লু’টা পেয়ে যেতে পারি।
ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, হত্যার ঘটনাটি নিয়ে গোপনীয়তার সাথে তদন্ত অভিযান চলছে।
খুলনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি-সার্কেল সজীব খান জানান, হত্যাকান্ডের মোটিভ উদ্ধারে আমি সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছে না।