সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া (খুলনা) : ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের প্রবেশ পথ বেহাল দশায় পরিনত। নির্মাণের ৬ মাস না যেতেই রাস্তাটির ইট-বালি উঠে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও আশপাশের এলাকার পানি নিস্কাসনে দুইটি সেমি-গেট বরাদ্দ হয়। যার একটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পাশে ও অন্যটি উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্র অফিসের সামনে নির্মিত। সরকারের এাণ ও পুনঃবাসন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত গেই দুইটির নির্মাণ ব্যয় ছিল ২৮ লাখ টাকা। কিন্তু গেটের নির্মাণ কাজ ৬ মাস না যেতেই দু’পাশের ইট-বালি উঠে যাচ্ছে। বিশেষ করে পূর্ব পাশের রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। গেটের ভিতর পাশের ইট-বালি উঠে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়তই এখানে ঘটছে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম বলেন, উপজেলা পরিষদের পূর্বপাশে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ মৎস্য অফিস, নির্বাচন অফিস, আনসার ও ভিডিপি অফিস, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব, উপজেলা পিডিবিএফ অফিস এবং একেবাকের গেটের মুখে আমার বাড়ি আমার খামার অফিসগুলো অবস্থিত। ওই সকল অফিসের সেবা পেতে ও যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি গেট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গেটের দু’পাশের সামান্য ১০ থেকে ১৫ হাত রাস্তাটুকু মোটেও ভালো হয়নি। অল্প দিনের মধ্যেই ভেঙ্গে-চুরে গেছে। মটর বাইক বা যাবাহন চলাচল করতে পারছে না। আর দুর্ঘটনা হচ্ছে অহরহ।
বিষয়টি নিয়ে গেট নির্মাণকারী ঠিকাদার আবু হাসান খান বলেন, সিডিউল অনুযায়ী গেটের কাজ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বরাদ্দ ছাড়া অতিরিক্তি কাজ হিসেবে আমি ওই গেটের দু’পাশে মাটি তুলে ইটের সোলিং করে দিয়েছি। এখন ইট-বালি উঠে গেলে আমার কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোনেন বলেন, নির্মাণের পরে যে কোন রাস্তা বা প্রতিষ্টানের ক্ষয়ক্ষতি হতেই পারে। এখানেও হয়তো ইট সরে গেছে। সমস্যা নেই, পরবর্তী বরাদ্দে ওখানে রিপিয়ারিং করা হবে।