দাকোপে ওয়াপদার জায়গা দখল করে দোকানের পজেশন বিক্রি!

প্রকাশঃ ২০১৯-০৭-২০ - ১১:১৯

গোলাম মোস্তফা খান, দাকোপ : খুলনার দাকোপ উপজেলাধীন বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি গেট এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়াপদা) সরকারি জায়গা দখল করে দোকানের পজেশন হিসাবে দখলে নেয়ার রিতীমত হিড়িক পড়েছে বলে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়।দাকোপের ৩৩নং এ পোল্ডারে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখানে ওয়াপদার কাজ সমাপ্ত করতে না করতেই স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের পরিকল্পনায় এই সরকারি জায়গা দখল করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে,ইতিমধ্যে মহলটি ২০ হাত বাই ৩০ হাত মাপের ২৫ থেকে ৩০টি ঘরের মত বাশ খুটি পুতে সম্পূর্ণ ওয়াপদার স্লোপের জায়গা দখলে নিয়ে নিয়েছে।সরেজমিনে ঘুরে বিষয়টি জানার সময় স্থানীয় বাসিন্দা অরেবিন্দু মন্ডল এ প্রতিনিধিকে জানান যারাই রক্ষক,তারাই যদি ভক্ষক হয় তাতে যা হবার তাই হচ্ছে।ক্ষমতাসিন দলের সিনিয়র নেতা,জনপ্রতিনিধি তার বাহিনী দিয়ে এখানে জায়গা দখল করে দোকারে পজেশন বানাচ্ছে।আর এলাকার কুমারেশ রায় নামে একজন জানান, শুধু জায়গা দখল না এ পজেশন প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার করে টাকাও তোলা হচ্ছে,যদি কষনও সমস্যা হয় তখন নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দিয়ে সমাধান করা হবে।এ বিষয় বাজুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেব প্রসাদ গাইনের কাছে জানতে চাইলে বলেন বর্তমান চেয়ারম্যানের ডানহাত বলে পরিচিত জিয়ার নেতৃত্বে দখল নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা শুরু হলে আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলি খানকে জানাই উনি সাথে সাথে ওয়াপদা কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।বর্তমান বাজুয়া ইউনিয়নের চেযারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি রঘুনাথ রায়ের সাথে কথা বললে জানান ঠিকই বলেছেন,এখানে পজেশন দখল চলছে,পূর্বের কিছু লোক যারা ছিল আর নতুন কিছু মিলিয়ে এ কাজ করছে, সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজনও দখলের সাথে জড়িত ।খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩৩ নং পোলডারের উপসহকারি প্রকৌশলী এমডি আানোয়ার হোসেনের কাছে দখলের বিষয়টি জানতে তিনি দখলের বিষয়টি শিকার করে জানান কাজ শেষ হতে না হতেই এভাবে সরকারি জায়গা দখলে রাখার চেষ্টায় আমরা বার বার দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি,ব্যাবস্থা নিতে সত্তর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে সাথে নিয়ে আমরা ঘঁনাস্থলে যাবো,আর দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন আমরা বিষটি জেনেছি এধরনের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে শক্ত ভুমিকায় আছি এখানেও সত্তর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলি খান বলেন বিষয়টি জানার সাথে সাথেই আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলি,তাদের জানাই দখল বন্ধ করেন নইলে এলাকায় আইন শৃংখলার অবনতি হতে পারে।তার পরও শুনেছি কিছু লোক দখল করেছে,করছে।ওয়াপদা কতৃপক্ষ কেন শক্ত ভুমিকা নেয় না, সেটাই বুঝিনা।