আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপঃ দাকোপের কাটাবুনিয়া এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের হিসাবে গভীর রাতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে দাকোপ থানায় এজাহার দাখিল করেছে। প্রাপ্ত এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার এলাকাবাসী ও এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। কাটাবুনিয়া গ্রামের মৃঃ সিরাজুল শেখের পুত্র অশিউর রহমান কিশোরের নেতৃত্বে মহিবুর শেখ, আছিফ, ফরিদ, মাজেদুল, হাফিজসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন একই গ্রামের হাসান মলঙ্গীর বসত বাড়ীতে হামলা করে। তারা দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ীতে থাকা মহিলাদের হাত পা বেধে বেধড়ক মারপিট ভাংচুর ও নগত টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুটপাট করে। ভুক্তভোগীদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে আসামীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় আহত মনোয়ারা বেগম, ছুটু বিবি ও ফজিলা বেগম দাকোপ হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হাসান মলঙ্গী বাদী দাকোপ থানায় এজাহার দাখিল করেছে। গত শুক্রবার থানার এস আই ফারুক হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘরবাড়ী ভাংচুরের নিদর্শন দেখা যায়। পুলিশ তদন্তকালে সেখানে উপস্থিত একই গ্রামের তরিকুল ইসলাম নান্নু, আব্দুল হামিদ, মনির শেখ, সালাম শেখ, অহিদুজ্জামান এই প্রতিবেদকের নিকট হামলা ভাংচুরের সত্যতা স্বীকার করেন।
এ বিষয় বিবাদী কিশোরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমিটি আমার শরিকের কাছ থেকে এ্যাওয়াজ বদল করে ২০ বছরের লীজ নেওয়া। সেখানে ১৪৪ ধারা জারী আছে। সেটা উপেক্ষা করে হাসান গং রাতের আধারে ঘরবাড়ী নির্মাণের চেষ্টা করছে। আমি বা আমার পক্ষের কেউ ঘরবাড়ী ভাঙেনি।
তবে দাতা জাফর শেখ কিশোরের দাবীকে অস্বীকার করে বলেন, নিজের ভাতিজা কিশোর কৌশলে আমার নিকট থেকে একটি লীজ ডিড করে নিয়েছিলো, আমি সেই ডিড বাতিল করে আমার নিজ নামের সম্পত্তি বৈধভাবে আমি বিক্রি করেছি।