দাকোপ প্রতিনিধি : দাকোপের ভদ্রা নদীতে ইজারারনামে লবন পানি উত্তোলন এবং আড়া-আড়ি নেট পাটা দিয়ে পানি সরবরাহের প্রতিবন্ধকতার প্রতিবাদে পানখালী ও তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন বাসীর যৌথ উদ্যোগে খোনা জাইকা ব্রীজ এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ টায় জাইকা ব্রীজ এলাকায় পানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন। অন্যান্যদে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য জয়ন্তী রানী সরদার, তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রনজিত কুমার মন্ডল, কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন কুমার সরকার, আব্দুর রহিম মোল্ল্যা,মোস্তাক ফকির,সাংবাদিক শেখ মোজাফফার হোসেন, গ্রাম উন্নয়ন কমিটি সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক শেখ, আফজাল শেখ, সমাজ সেবক শহিদুল ইসলাম শেখ,শ্রমিকলীগ নেতা জাহান আলী শেখ, মোঃ আলমগীর শেখ, নিয়ামত শেখ, শরিফুল শেখ, জাহিদুর রহমানসহ পানখালী ও তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য-সদস্যা বৃন্দ,পানখালী ইউপির সকল গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকসহ সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি। সভায় বক্তৃতারা বলেন,ভদ্রা নদী ২টি ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নদীর উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এ নদী থেকে মৎস্য আহরণ করে অনেক মৎস্য জীবি জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বিগত বছরগুলোতে যারা ইজারা নিয়েছে তারা কখনো নেট পাটা এ নদীতে ব্যবহার করেনি। নদীতে ২টি স্লইসগেট থাকায় নদীটি খোলা জলশায় হিসাবে পরিচিত। বর্তমান বছরে খুলনা ও পাইকগাছার বহিরাগত প্রভাবশালীরা পানখালী মৎস্য জীবি সমবয় সমিতির নামে ইজারা নিয়ে নদীতে লবন পানি ঢুকিয়ে ও আড়া-আড়ী ভাবে নেট পাটা ব্যবহার করে মৎস্য চাষ করছে। ফলে স্থানীয় ছোট ছোট জলশায় গুলোতে লবন পানি ঢুকায় গবাদী পশুসহ চাষবাদে বিঘœ সৃষ্টি করছে। ইজারাদাররা জলমহল নীতিমালাকে বৃদ্ধাগুল দেখিয়ে বৈ-আইনী ভাবে জনগনের ক্ষতি সাধন করছে। নদী থেকে আড়া-আড়ী নেট পাটা অপসারণসহ ইজারাদারদের উচ্ছেদের দাবী করেন সমাবেশে বক্তৃরা।