দাকোপে মসজিদের অর্থ লোপাটের সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্টদের দৌড়ঝাপ

প্রকাশঃ ২০২২-০৬-০১ - ২১:৩৫

ফলোআপ দাকোপে মসজিদের অর্থ লোপাটের অভিযোগ সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্টদের দৌড়ঝাপ, সামাল দিতে নানামূখী উদ্যোগ
আজগর হোসেন ছাব্বির দাকোপঃদাকোপে মসজিদ ভবন নির্মানে দূর্ণীতির সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয়েছে উপজেলা প্রকৌশলীর দৌড়ঝাপ। দ্রুত অসমাপ্ত কাজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা। মসজিদ কমিটির নিকট থেকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ আদায়ে চলছে নানা মূখী প্রচেষ্টা।
বানীশান্তা বাজার এলাকায় সুন্দরবন জামে মসজিদ ভবন নির্মানে দূর্ণীতি অনিয়মের প্রতিবাদে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে গত ২৭ মে জুম্মা নামাজ শেষে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। তারই আলোকে স্থানীয় এবং জাতীয় গনমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হয়। যেখানে দাকোপ উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস, প্রকল্পের মূল ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম এবং কাজটি বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সাব কন্ট্রাক্টর এনায়েত শরীফ কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় বিল পরিধোধের কথা স্বীকার করে এ ঘটনার জন্য একে অন্যের উপর দ্বায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। এ দিকে সংবাদ প্রকাশের পর দৌড়ঝাপ শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। ঘটনার পরের দিন শনিবার এবং সোমবার দু’দফা উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস সেখানে গিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে বৈঠক করে। মসজিদ কমিটির সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম শেখ, ইউপি সদস্য ফিরোজ খা, কমিটির উপদেষ্টা লাল মিয়া হাওলাদারসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপজেলা প্রকৌশলী যতদ্রুত সম্ভব অসমাপ্ত কাজ করে দেওয়ার অঙ্গিকার করেছেন। একই সাথে কাজের গুনগত মান নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। অথচ ২৫ জুন ২০২০ সালে প্রকল্পের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার দু’বছরের মধ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং মসজিদ কমিটিকে কাজের বিবরন থেকে অন্ধকারে রেখে ৩০ শতাংশ কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় ঠিকাদারকে জামানতসহ চুড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়। অপরদিকে জনৈক সংবাদ কর্মি বানীশান্তা বাজার এলাকায় উপস্থিত হয়ে প্রকৌশলী ঠিকাদারের পক্ষ অবলম্বন করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপি দিতে মসজিদ কমিটিকে চাপ প্রয়োগ করেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি স্বীকার করে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম শেখ বলেছেন আমাদের মসজিদের কাজে দূর্ণীতি অনিয়ম হয়েছে আমরা প্রতিবাদ করেছি কাজটি শতভাগ আদায়ের জন্য। কাজ আদায় হলে আমাদের ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য নেই। তাহলে আমরা কেন প্রতিবাদ দিব। উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বলেন, সিডিউলের সকল বিষয় কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে। যেহেতু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তাই সিডিউলের বাইরে গিয়ে কমিটির প্রত্যাশা অনুযায়ী সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে অবশিষ্ট কাজ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্ষেপে জি এস আইডি প্রকল্পের আওতায় ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৪ টাকা ব্যয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ শুরু হয়ে একই বছরের ২৫ জুন সুন্দরবন মসজিদ ভবন নির্মান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। উপজেলা এলজিইডি দপ্তর কাজটির নির্মান কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিল। জানা গেছে মেসার্স মাষ্টার এন্টার প্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে বানীশান্তার ইউপি সদস্য এনায়েত শরীফকে সাব কন্টাকে দিয়ে দেয়। দীর্ঘ এই সময়ে ঠিকাদার শতভাগ কাজ না করে সকল বিল উত্তোলন করায় মসজিদ কমিটি ও সাধারন মুসুল্লিরা বিক্ষুদ্ধ হয়।