খুলনা অফিস : সুন্দরবনের দুবলার চরে শতবছরের ঐতিহ্যবাহী রাশমেলার উৎসব এ বছর বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র ধর্মীয় পুজা ও পূন্যস্নাণ অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এবার রাশমেলা উপলক্ষ্যে সুন্দরবনের দুবলার চরের ধর্মীয় অনুষ্টানে যেতে পারবেন।রাশ পূর্নিমা উপলক্ষ্যে ২৪নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুবলার চরে পর্যটক ভ্রমন বন্ধ থাকবে। রবিবার দুপুরে খুলনার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সুন্দরবনের দুবলার চরে রাশমেলা ও পূন্যস্নাণ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জুম প্রযুক্তিতে সংযুক্ত হন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ, খুলনার পুলিশ সুপার এসএম সফিউল্লাহ, খুলনার বন সংরক্ষক মো: মঈন উদ্দিন খান, সুন্দরবন র্পুব বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো: বেলায়েত হোসেন, পশ্চিম বিভাগের কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসীন, রাশমেলা উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক সোমনাথ দে, যুগ্মসম্পাদক প্রদীপ বসু সন্তু,কোষাধ্যক্ষ অরিন্দম দেবনাথ, পূজা পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, যুগ্মসম্পাদক রতন কুমার দেবনাথ, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি মঈন জমাদ্দার, সাধারন সম্পাদক নাজমুল আলম ডেভিড,সুন্দরবন বিভাগের সাতক্ষীরার এসিএফ এমএ.হাসান, রেঞ্জার মোকাম্মেল কবিরসহ পুলিশ, নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড, বিজিবি, র্যা ব, আনসার-ভিডিপি, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার জেরা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার সিভিল সার্জনবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, রাশমেলার পূজা ও পূন্যস্নাণে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুবলার চরে যেতে যেসব ট্রলার ও বোট ব্যবহার করবে সেখানে মুসলিম ও অন্যধর্মের লোকজান থাকলেও তাদেরকে বনবিভাগ অনুমোদন দিবেন। এছাড়া প্রতিবছর দুবরার চরের রাশমেলার পূজা ও পূন্যস্নাণে সুন্দরবনের আটটি রুট ব্যবহার করা হলেও এবার মাত্র ৬টি রুট ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া ১নভেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন ভ্রমন উন্মুক্ত করা হলেও রাশমেলার পূজার জন্য ২৪নভেম্বর থেকে ৩০নভেম্বর পর্যন্ত দুবলার চর এলাকায় দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য ভ্রমন নিষিদ্ধ থাকবে।