দুর্গাপূজার প্রস্তুতিতে প্রতিমা শিল্পীরা

প্রকাশঃ ২০১৯-০৯-২৩ - ১৫:৩২

ঢাকা অফিস : দুর্গাপূজা ঘনিয়ে আসায় ব্যস্ত টাঙ্গাইলের পাল পাড়ার মৃৎশিল্পীরা। জগন্নাথ দেবের উৎসবের দিন থেকেই প্রতিমা তৈরিতে হাত দেন কারিগররা। মনসা পূজার পর মূল প্রতিমায় মাটির প্রলেপের কাজ শুরু করেন। এরপর রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমা পায় দৃষ্টিনন্দন রুপ। পঞ্জিকা মতে ২৮শে সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে মর্তলোকে দেবীর আগমনী বার্তা ধ্বনিত হবে। আর ৮ই অক্টোবর দশমী বিহীত পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পূজা।

উপকরণের দাম বৃদ্ধির অনুপাতে প্রতিমার মূল্য না বাড়ায় এ পেশায় আগ্রহ কম নতুন প্রজন্মের। এ পেশাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তাদের অনেকেই।

এদিকে, সকল প্রকার ঝুঁকি মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানালো টাঙ্গাইলের প্রশাসন। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ‘পূজামণ্ডপের দিক থেকে টাঙ্গাইলের আবস্থান সামনের দিকে।’

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘কোন মন্দির কতটুকু ঝুঁকিতে রয়েছে তার ভিত্তিতে আমরা ফোর্স নিয়োগ করছি।’

এদিকে, দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে নরসিংদীর পূজা মন্ডপগুলোতেও লেগেছে উৎসবের আমেজ। কোথাও চলছে মাটির কাজ আবার কোথাও প্রতিমাকে রাঙিয়ে তুলছেন শিল্পীরা।

আর ক’দিন পরেই ঘোড়ায় চড়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দূর্গা।  সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।  তবে ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় প্রতিমা শিল্পীদের মাঝে এখন চরম হতাশা।

অন্যদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্ধ্বগতির পাশাপাশি অধিক টাকায় কারিগর নিয়োজিত করায় মুনাফা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা।

আর প্রতিটি মন্ডপের নিরাপত্তায় প্রশাসনের নজরদারির পাশাপাশি সবার সহযোগিতা চেয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দিপক কুমার সাহা বলেন, দুর্গোৎসব বিভাবে সুষ্ঠু ভাবে কার যায় সে বিষয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিরা আমাদের আশ্বাস প্রদান করেছেন।’

এ বছর নরসিংদীর ৬ উপজেলা ও ৫ পৌরসভায় মোট ৩৬০ টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।