এছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত নতুন ৩৯০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে মোট শনাক্ত হলেন ৩,৭৭২ জন।
বুধবার (২২শে এপ্রিল) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। এসময়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ৩,০৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৯২ জন। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার কারণেই সুস্থ হওয়ার সংখ্যা তুলনামূলক কম। আর, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে পুরুষ ৭ জন ও নারী ৩ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ভিতরে ৭ জন ও ঢাকার বাইরের ৩ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫০ জনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মোট ৯০০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আর, কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৮৩,১৯৭ জন ব্যক্তি। এ পর্যন্ত দেশের ৫৫টি জেলায় করোনা সংক্রমণ হয়েছে। আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পর আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি নরসিংদী, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জে।
এর আগে, এর আগে, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ডা. মো. শহীদুল্লাহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা নিম্নমানের গ্লাভস বিতরণের দায় তাদের নয় বলে জানান। এসময় তিনি জানান, মাস্কসহ অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম আমাদের হাতে মজুদ আছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসা প্রদানকারী হাসপাতালগুলোতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেয়া হচ্ছে।
দেশে গত ৮ই মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। সম্পূর্ণ বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। আর, সারা দেশে গত ২৬শে মার্চ থেকে ২৬শে এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলায় জেলায় চলছে লকডাউন। মানুষকে ঘরে রাখতে টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১,৭৭,৭৮৯ জন ব্যক্তি। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে সারা বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৭৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ২৫৪ জন মানুষ। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮৬১ জন। বর্তমানে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৯১ হাজার ২২৯ জন। যাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ৫৭,২৯৭ জন।